ঘাসফুল ও পদ্ম সংঘর্ষে বোমা-গুলি

দলীয় সূত্রের খবর, নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পরে দেওয়ানহাট। নাটাবাড়ির বিধায়ক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে ওই এলাকা কার্যত চলে যায় বিজেপির দখলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০৭:৫৯
Share:

গোলমালের পরে এলাকায় টহল। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল ও বিজেপির দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলি-বোমা চলার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার দেওয়ানহাটে। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের জেলা কমিটির সদস্য শুভাশিস চৌধুরীর বাড়ির সামনে ৩টি বোমা ছোড়া হয়। বাড়ির ভিতরে ঢুকে শুভাশিসবাবুকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। সেখানেই বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে বিজেপির এক মণ্ডল সম্পাদক সুভাষ দে-র মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপির সশস্ত্র কর্মীরা দুই তৃণমূলকর্মীর দোকান ভাঙচুর করে। তৃণমূলের দাবি, ওই বিজেপি কর্মীরাই এলাকায় বোমাবাজি করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বোমা উদ্ধার করেছে। কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের টহলদারি চলছে।”

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পরে দেওয়ানহাট। নাটাবাড়ির বিধায়ক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে ওই এলাকা কার্যত চলে যায় বিজেপির দখলে। এ দিন ওই এলাকায় মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল। দুপুর ২টো নাগাদ মিছিল হওয়ার কথা। তবে তার আগে থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

তৃণমূলের দাবি, মিছিল আটকানোর জন্যে আগের রাত থেকেই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে বিজেপি। তবে এ দিন সকাল থেকে আবার গণ্ডগোল শুরু হয়। তৃণমূল সমর্থকের দোকান ভাঙচুরের নালিশ ওঠার পরপরই শোনা যায়, বিজেপির এক নেতা শুভাশিসের বাড়িতে তৃণমূলকর্মীরা হামলা করেছে।

Advertisement

শুভাশিসের দাবি, তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মার উপরেও হামলা হয়। তাঁদের দু’জনই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের জড়ো করে দেওয়ানহাটে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা করেছে তৃণমূল।” রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “লোকসভা ভোট থেকে বিজেপি সন্ত্রাস তৈরি করেছে। এ দিনও হামলার পরে ক্ষুব্ধ মানুষ পথে নামেন।”

এ দিন দেওয়ানহাট বাজারে মিছিলও করে তৃণমূল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ এবং শুচিস্মিতা দেবশর্মা। এ দিন ওই বাজারে হাট বসার কথা ছিল। দুই দলের দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীদের অনেকেই দোকান বন্ধ করে দেন।

তুফানগঞ্জেও চিলাখানা বাজার এলাকায় বুধবার সকাল ১১টায় তৃণমূল একটি মিছিল হয়। পরে দুপুর ১টায় বিজেপির একটি মিছিল হয় চিলাখানা বাজার এলাকাতেই। দুই মিছিলের জন্য এলাকা একরকম বন্‌ধের চেহারা নেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement