শিক্ষিকার বাবাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল পকসো আদালত। সঙ্গে জরিমানাও করা হয়েছে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সল্টলেকে টিউশন নিতে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিল পাঁচ বছরের এক শিশু। নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন গৃহশিক্ষিকার বাবা। ওই ঘটনায় শিক্ষিকার বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে মঙ্গলবার ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল বারাসতের পকসো আদালত। ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ৬২ বছরের বৃদ্ধকে।
২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি এফআইআর হয়েছিল পূর্ব বিধাননগর থানায়। এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের বাসিন্দা শিশুটি রোজ সন্ধ্যায় এক শিক্ষিকার বাড়িতে টিউশন নিতে যেত। তাকে তার বাবা অথবা মা রোজ সেখানে দিয়ে বা নিয়ে আসতেন। পরিবার অভিযোগ করে জানিয়েছিল, শিশুটি কয়েক দিন ধরে পড়তে যেতে চাইছিল না। পড়তে যাওয়ার কথা শুনলে ভয় পেত। কান্নাকাটি করত। শিশুটির মা ভেবেছিলেন, দুষ্টুমি করে সে যেতে চাইছে না। এ জন্য তাকে বকাবকিও করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত জোর করে টিউশন নিতে পাঠিয়ে দেন।
ওই দিনই টিউশন থেকে ফিরে শিশুটি বাবা-মাকে যৌন নির্যাতনের কথা জানায়। এর পরেই পূর্ব বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। নির্যাতিতার পরিবার জানায়, শিশুটি যৌন হেনস্থার বিষয়টি তার আগে শিক্ষিকাকেও জানানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি আমল দেননি। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে শিক্ষিকার বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হেফাজতে রেখে বিচার চলছিল। সোমবার বারাসতের বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক সুস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পকসোর ৬ এবং ১২ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল আদালত। বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মৃণাল দাস বলেন, ‘‘এই ধরনের অপরাধের ক্ষমা নেই। অভিযুক্তের শাস্তি হওয়ায় আমরা খুশি।’’