উৎসবের ঝকমারি

কালীপুজো এবং দেওয়ালির পর চার দিন কাটতে চলেছে, শহরের বিভিন্ন অলিগলি থেকে প্রধান রাস্তাগুলির খোলা হয়নি প্যান্ডেল থেকে তোরণ, শুভেচ্ছা বার্তার গেট থেকে রকমারি আলো লাগানোর খুঁটিও। এতে পথচলতি মানুষের তো বটেই, গাড়ি চলাচলের সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিশু ও প্রবীণেরা পড়ছে সব থেকে মুশকিলে। না-খোলা ফ্লেক্সে ঘটছে দৃশ্যদূষণ। খবর নিল আনন্দবাজার।পুজোর দিনগুলিতে অফিস, দফতর, স্কুল কলেজ ছুটি থাকায় রাস্তায় বড় বাস, ট্রাক, গাড়ি, বাইক অনেকটাই কম থাকে। কিন্তু ২ নভেম্বর থেকে ছুটি শেষ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৪৫
Share:

পুজো কেটে যাওয়ার চার দিন পরেও জলপাইগুড়িতে সরেনি আলোকতোরণ। ছবি: সন্দীপ পাল।

শিলিগুড়ি

Advertisement

পুজোর দিনগুলিতে অফিস, দফতর, স্কুল কলেজ ছুটি থাকায় রাস্তায় বড় বাস, ট্রাক, গাড়ি, বাইক অনেকটাই কম থাকে। কিন্তু ২ নভেম্বর থেকে ছুটি শেষ। তারপরে দিনভর রাস্তায় গাড়ি, ভিড় বাড়ছে। কিন্তু পদে পদে থমকে যেতে হচ্ছে পুজোর সময় তৈরি তোরণ ও মণ্ডপের বাঁশের কাঠামোয়। কোনও গাড়ি বাঁশের কাঠামোগুলিতে ধাক্কা মারলে তা ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘‘দ্রুত পুলিশ-প্রশাসনের উচিত, সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে মণ্ডপের আগে সেগুলি দ্রুত খোলার ব্যবস্থা করা।’’ মহানন্দা পাড়ার পশু হাসপাতালের রাস্তা থেকে সূর্যসেন পার্কে যাওয়ার রাস্তা গেট, আলোর গেট এখনও বহাল তবিয়তে পড়ে রয়েছে। একই অবস্থা, আশ্রমপাড়া, পাঞ্জাবিপাড়া রোডেরও। সেখানেও রাস্তা ঘেঁষা একটি মণ্ডপ এ দিন দুপুর অবধি ছিল। এলাকার সব চেয়ে খারাপ অবস্থা রামকৃষ্ণ সারদামণি স্কুলের সামনে রাস্তার। কয়েক ফুটের ব্যবধানে অন্তত ৮টি তোরণ, গেট এখনও রয়েছে। বড় স্কুল বাস বা গাড়ি আসলেই সেখানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একই অবস্থা, পাকুরতলা মোড় থেকে হরেন মুখোপাধ্যায় রোডের একটা বড় অংশের। সেখানে টিভি-ফ্রিজ, বিমা-সহ একাধিক বেসরকারি সংস্থার স্পনসরশিপে তৈরি বিশাল বিশাল গেটগুলি খোলা হয়নি। হায়দারপাড়াগামী নজরুল সরণিতে এ বার তৈরি আইফেল টাওয়ারের অর্ধেকের বেশি কাঠামো এখনও রাস্তা অনেকটা জুড়েই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর কিছুটা আগে পুজো প্যান্ডেল, স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য তৈরি মঞ্চ যথারীতি রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

মালদহ

ইংরেজবাজার শহরের বেশির ভাগ পুজো মণ্ডপই খোলা হয়নি। কোথাও কোথাও মণ্ডপের পাশেই গানের জলসা বসেছিল, সেখানে নোংরা জঞ্জালও ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, সে সব নিয়ে কী পুজো উদ্যোক্তা বা পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। যেসব তোরণ় বা ফেস্টুন ও ফ্লেকস ঝোলানো হয়েছিল সেগুলিও অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। কিছু কিছু গেট অবশ্য বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে খোলার কাজ শুরু হয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, এখনও শহরের রাস্তা জুড়ে যে সমস্ত মণ্ডপ রয়েছে সেগুলি দ্রুত খুলে নেওয়ার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে বলে হয়েছে। প্রশাসনও দেখছে।

আলিপুরদুয়ার

আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় একাধিক কালীপুজোর মণ্ডপের বাঁশ পড়ে রয়েছে রাস্তা জুড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই অসুবিধায় পড়ছেন বাসিন্দারা। অসম গেট লেভেল ক্রসিংয়ের নির্ময়মান উড়াল পুলের পিলারের উপর বড় বড় ফ্লেক্স ঝুলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা তপেন কর জানান যত দ্রুত সম্ভব ফ্লেক্স গুলি খুলিয়ে নেওয়া হবে।

শিলিগুড়িতে ফুটপাথ থেকে খোলা হয়নি মণ্ডপের কাঠামো। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

রায়গঞ্জ

রায়গঞ্জের রেলগেট, বিবিডি মোড়, নিউমার্কেট, ঘড়িমোড়, মোহনবাটি, বিধাননগর মোড়, নেতাজিপল্লি ও পূর্ব নেতাজিপল্লি এলাকায় শহরের বিভিন্ন রাস্তার উপর ১২টি বাঁশের তৈরি আলোক তোরনের গেট এখনও খোলা হয়নি। ফলে রাস্তার একাংশ দখল হয়ে থাকায় মাঝেমধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

কোচবিহার

কোথাও বাঁশের তোরণ রাস্তায় চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও কালীপুজোর আধভাঙা মণ্ডপ সমস্যা তৈরি করে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। কোচবিহার শহরের একাধিক রাস্তায় ওই অবস্থা হয়ে রয়েছে। তা নিয়ে বিশেষ কারও হেলদোল নেই। দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জেও কয়েকটি মণ্ডপ এখনও রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement