—ফাইল চিত্র।
বিজেপি’র যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানে কোথায় ছররা গুলি চলেছি, তার খোঁজে নামল সিআইডি।
গত ৭ ডিসেম্বর অভিযানের জেরে উলেন রায় নামের এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে তো বটেই, ময়না-তদন্তের রিপোর্টেও ছররা গুলির প্রমাণ মিলেছে বলে প্রশাসনের একাংশের দাবি। বিজেপি পুলিশের বিরুদ্ধে শটগান থেকে ছররা গুলি চালানোর অভিযোগ করলেও তা কী করে চলল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এর পরেই রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের কথা জানায়। শিলিগুড়ি কমিশনারেটে হাত থেকে নথিপত্র, বিভিন্ন ভিডিয়ো রেকর্ডিং, নমুনা নেওয়ার পর গোয়েন্দারা প্রথমেই ঠিক কোথায় গুলি চলেছিল, তা বার করার চেষ্টা করছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গুলি ঠিক কোন এলাকা থেকে চলছিল, তা দেখতে তিনটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং পরীক্ষা করা হচ্ছে। এশিয়ান হাইওয়ের পাশে ওই এলাকায় কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে কিনা, তা-ও দেখছেন গোয়েন্দারা। এশিয়ান হাইওয়েতে রাস্তা আটকানো ব্যারিকেড, নাকি মিছিলের ভিতর থেকে গুলি চলে— সেটাই এখন তদন্তের মূল বিবেচ্য। ছররা বিদ্ধ ১৩ জনের খোঁজ মিলেছে এখন পর্যন্ত। উলেন মারা গিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বাকিদের মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। সিআইডির এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘তিন দিকের তিনটি ভিডিয়ো বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে। এশিয়ান হাইওয়ে, ক্যানেল রোডের ছবি বারবার দেখা হচ্ছে। আহতদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।’’
অভিযানের সময় ফুলবাড়ি মোড়ে পথসাথীতে ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ক’দিন আগে সেখানে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী গৌতম দেব অভিযোগ করেন, পথসাথীতেও গুলি চালানোর চিহ্ন রয়েছে। গোয়েন্দা অফিসারেরা মনে করছেন, ফুলবাড়ি মোড়ের সেতু থেকে বাজার এলাকার মধ্যেই যা হওয়ার হয়েছে। ছররা গুলিতে জখম বাসিন্দা রাজগঞ্জের কৃষ্ণ দাস বলেছিলেন, তাঁর মাথায় ছররা গুলি লাগে। তিনি তখন এশিয়ান হাইওয়ে ধরে ফুলবাড়ির একটি নার্সিংহোম থেকে বাজারের দিকে যাওয়ার রাস্তায় ছিলেন। মিছিলের অনেকটাই পিছনে ছিলেন, দাবি করেন তিনি। মৃত উলেন রায় ছিলেন ক্যানেল মোড়ের কাছে। তা হলে কি দুই জায়গায়, নাকি এক জায়গা থেকে দু’দিকে ছররা গুলি চলেছিল? গৌতম দেবের অভিযোগ, বিজেপির মিছিল থেকেই গুলি চলে। ভিডিয়ো ভাইরাল করে পাল্টা প্রচার চালায় বিজেপি। ঠিক কোথায় গুলি চলল, কে চালাল— সেটাই খুঁজে বার করতে ভিডিয়ো খতিয়ে দেখছে সিআইডি।