প্রতীকী ছবি
দক্ষিণ দিনাজপুরে উপসর্গ থাকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। পুরনো কোভিড হাসপাতালে সব আক্রান্তের চিকিৎসার জায়গা না থাকায় বালুরঘাটে ৮০ শয্যার নতুন কোভিড হাসপাতাল গড়ে তুলেছে জেলা প্রশাসন।
কিন্তু সেটি চালুর মুখে তৈরি হল আইনি জটিলতা।
শহরের ইউথ হোস্টেলে ওই নতুন কোভিড হাসপাতালের কাছে সমাজকল্যাণ দফতর পরিচালিত বিচারাধীন শিশুদের হোম রয়েছে। নতুন তৈরি ওই কোভিড হাসপাতাল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করে ‘জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের’ (জেজেবি) ম্যাজিস্ট্রেট এবং হোম সুপার আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন। আগামী সোমবার ওই মামলার শুনানি হবে। সোমবারই নতুন কোভিড হাসপাতাল চালুর দিন ঠিক হলেও, আইনি জটিলতায় উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে আরও ২২ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বালুরঘাট শহরের ৪ জন ও গ্রামীণ এলাকায় ৮, তপনে ৬, হরিরামপুরে ২ এবং কুমারগঞ্জ ও হিলিতে ১ জন করে রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রন্তের সংখ্যা হল ৯৩৩।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পর্যন্ত জেলায় উপসর্গযুক্ত (অ্যাক্টিভ) করোনা রোগীর সংখ্যা ৪২২ জন। বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে পুরনো কোভিড হাসপাতালে ২০টি শয্যা থাকায় ২০ জনই ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অন্য ‘অ্যাক্টিভ’ রোগীদের সেফ হোম বা হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, ইউথ হোস্টেলের কাছে শুভায়ন হোম থাকলেও দুই ভবনের মধ্যে কংক্রিটের উঁচু পাঁচিল রয়েছে। চারতলা ইউথ হোস্টেলে চালু কোভিড হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অমূলক।
হোম কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, কাছেই থাকা ওই কোভিড হাসপাতাল থেকে হোমের শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, ২০ শয্যার পুরনো কোভিড হাসপাতালে উপসর্গযুক্ত সব রোগীকে ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই নতুন ওই কোভিড হাসপাতাল চালু করা জরুরি। এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র হাইকোর্টে দাখিল করতে প্রশাসনিক তৎপরতা
শুরু হয়েছে।