উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ মীনা। নিজস্ব চিত্র
মাথার উপর ছাদ পেতে পারেন ছিত সরেন। গৃহহীন এই আদিবাসী মহিলা দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন রায়গঞ্জের মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই খবর প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার। এর পরেই ছিত এবং তাঁর সন্তানদের সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে উদ্যোগী হল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। ওই মহিলাকে সন্তান-সহ সরকারি হোমে পাঠানোর জন্য আইনি সহায়তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে পুলিশ।
তবে ছিত নিজে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও দোটানায়। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার বদলে তিনি চিন্তায় রয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন ওই হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া আর এক আদিবাসী মহিলা। তাঁর কথায়, ‘‘ছিতের আশঙ্কা, হোমে গেলে সন্তানদের থেকে আলাদা থাকতে হবে তাঁকে।’’
বৃহস্পতিবারই উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার জানিয়েছিলেন, ওই মহিলার দুর্দশার কথা জেনেই তাঁকে হোমে পাঠানোর জন্য আইনি সহায়তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তাঁরা। রায়গঞ্জ হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের নেতা প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘‘প্রশাসনের এই উদ্যোগে আমরা খুশি।’’ প্রশান্তরাই এত দিন ছিত এবং তাঁর সন্তানদের দেখাশোনা করতেন। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে প্রশান্ত জানান, আগামী দিনে এ ব্যাপারে সরকারি প্রক্রিয়ায় কোনও সহযোগিতা দরকার হলে, তাঁরা তা-ও করবেন।
তবে দুই সন্তানের মা ছিত হোমে যাওয়া নিয়ে শুক্রবার কোনও কথা বলেননি। ছিতকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আদিবাসী ভাষায় হাসপাতালেই আশ্রিতা আর এক মহিলার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন তিনি। পরে ওই মহিলা বলেন, ‘‘হোমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ছিত দোটানায়। ভয় পাচ্ছেন এই ভেবে যে, হোমে গেলে তাঁকে আর তাঁর সন্তানদের আলাদা করে দেওয়া হতে পারে।’’