—ফাইল চিত্র।
চিতাবাঘকে গুলি-কাণ্ডে বন দফতরের নির্ধারিত পদ্ধতি মেনে বন আধিকারিকেরা রাঙাপানিতে চিতাবাঘ উদ্ধারে যাননি বলেই অভিযোগ উঠেছে। তার জেরেই শেষপর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে চিতাবাঘটিকে গুলি করে মেরে ফেলা হয় বলেই দাবি তুলে বিক্ষোভে নামল দুটি সংগঠন।
বুধবার রাতে রাঙাপানির ধোতিজোত এলাকায় একটি স্ত্রী চিতাবাঘ তিনজনকে জখম করে। বন দফতরের উদ্ধার পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান বন আধিকারিকেরা। তবে দফতরের তদন্তে ভরসা রাখছেন না ওই সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।
এ দিন রাজ্যের মুখ্য বন্যপ্রাণ ওয়ার্ডেনকে চিঠি দিয়ে দশ দফা প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠনগুলি। বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা সংগঠন স্ন্যাপ এবং লিগ্যাল এড ফোরামের তরফে দাবি করা হয়েছে, পদ্ধতি মেনে কাজ করলে হয়ত চিতাবাঘটিকে বাঁচানো যেত। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নিয়ে বন দফতর সেই কাজে যায়নি বলে অভিযোগ তুলে এ দিন হাসমিচকে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে তারা। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার বলেন, ‘‘আমরা ৭ দিন সময় দেব। তার মধ্যে উত্তর না পেলে পরিবেশ আদালতে যাব।’’
চিতাবাঘটি স্থানীয় একজনের বাডি ঢুকে তিনজনকে জখম করলে সেটিকে লাঠি দিয়ে মারার একটি ছবি ভাইরাল হয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা নন, বন দফতরের কর্মীরাই সেটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কাবু করেন। তারপর রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত কাছে গেলে চিতাবাঘটি তাঁকে আক্রমণ করে বলে দফতর সূত্রের দাবি। তারপরেই দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ঘুমপাডানি গুলিতে সেটিকে কাবু করে জাল ছোডা কেন হল না, সেই প্রশ্ন সংগঠনগুলির। তা হলে হয়ত চিতাবাঘটি বেঁচেও যেতে পারত বলেই দাবি করছে তারা।