—প্রতীকী চিত্র।
আর জি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে হাতে কালো ফিতে বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন দর্শনার্থীদের একাংশ। সেই সময়ে প্রতিবাদস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরে এক মহিলাকে ‘খারাপ স্পর্শ’ করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরে। অভিযোগ, এর পরে অভিযুক্ত ওই যুবককে দর্শনার্থীদের ভিড়ের মাঝে পুলিশের সামনেই কান ধরে ওঠবস করান কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। চলে মারধরও। শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশের সামনে কী ভাবে অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে মারধর ও কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। রায়গঞ্জের রমেন্দ্রপল্লির বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুবক পীযূষ সাহা বলেন, ‘‘ওই যুবক কোনও অন্যায় করে থাকলে, তার জন্য আইন-আদালত রয়েছে। এ ভাবে পুলিশের সামনে তাঁকে মারধর ও কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনা অনভিপ্রেত ছিল। তখন অনেকেই সেই প্রশ্ন তোলেন। অভিযুক্তকে তো পুলিশের হাতেও তুলে দেওয়া যেত।’’ তাঁর বক্তব্য, যে অভিযোগের কারণে ওই যুবককে মারধর করা হল, সে ব্য়াপারে পুলিশেই কোনও অভিযোগ হয়নি।
অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই যুবককে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। পরে, অভিযুক্ত যুবক সেখান থেকে চলে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে এক সেনাকর্মীর স্ত্রীর শরীর আপত্তিকর ভাবে ‘স্পর্শ’ করেন। ওই সেনাকর্মী ঘটনাস্থলে নজরদারির দায়িত্বে থাকা এক কনস্টেবলকে সে কথা জানান। তার পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, ‘‘ওই মহিলা কিংবা তাঁর স্বামী পুলিশের কাছে লিখিত কোনও অভিযোগ জানাননি। ঘটনার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান, ঘটনাস্থলে এক জন কনস্টেবল ও এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। ফলে, উত্তেজিত জনতাকে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা সামলাতে পারেননি। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। ঘটনার কথা থানায় জানানোর আগেই, অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী সেখান থেকে
চলে যান।