নিহত দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালী সরকার পুরসভায় সিআইসি পদে শপদ নিখেন সঙ্গে পৌর প্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বৃহস্পতিবার পৌর ভবনে। ছবি: উত্তম বিশ্বাস
বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজার পুরসভায় চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর (জল) হিসাবে শপথ নিলেন নিহত দুলাল সরকার ওরফে বাবলার স্ত্রী চৈতালী ঘোষ সরকার। দুপুরে বোর্ড অব কাউন্সিলর (বিওসি)-এর মিটিং শুরুর আগেই তাঁকে সিআইসি-পদে শপথবাক্য পাঠ করান পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। গত সপ্তাহে জেলায় সরকারি সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চে চৈতালীকে পুরসভার পদ দেওয়ার জন্য কৃষ্ণেন্দুকে নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুলাল খুনে অধরা ‘ওয়ান্টেড’ রোহন রজক ও বাবলু যাদব। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট তৃণমূলেরই একাংশ।
আজ, শুক্রবার চোদ্দো দিন জেল হেফাজতের শেষে দুলাল খুনে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ওরফে নন্দু সহ আট জনকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে। তবে কেন এখনও অধরা রোহন এবং বাবলু, উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নিহত নেতার উপরে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছিল রোহনকে। বাবলু দুলালের গতিবিধির উপরে নিয়মিত নজর রাখত। রোহন ও বাবলু গ্রেফতার হলে খুনের কারণ স্পষ্ট হবে, দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, ভিন্ রাজ্যে ধৃতেরা গা ঢাকা দিয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন,“অভিযুক্তদের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে পুলিশের একাধিক টিম তল্লাশি চালাচ্ছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।” ২ জানুয়ারি শহরের মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা পুরপ্রতিনিধি দুলাল। তাঁকে খুনে তৃণমূল নেতা নন্দুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২০ জানুয়ারি জেলা সফরে এসে দুলালের বাড়িতে গিয়ে চৈতালীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চৈতালী বাবলার অসম্পূর্ণ কাজ করবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। পরে তিনি চৈতালীকে পুরসভায় পদ দেওয়ার জন্য কৃষ্ণেন্দুকে নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, পুরসভার অধীনে শহরে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। সে প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় চৈতালীকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সিআইসি হিসাবে শপথ নিয়েছি। তবে আমি চাই আমার স্বামী খুনের প্রকৃত অপরাধীরা সামনে আসুক।” কৃষ্ণেন্দু বলেন,“বিওসিতে চৈতালীর সিআইসি দেওয়া নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছিল। এ দিন তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন। কোঠাবাড়ি বাজার দুলালের নামে করা হবে।”