—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চার বছর পরে, চিতাবাঘ গণনায় উত্তরবঙ্গে মাত্র ২৩৩টি চিতাবাঘের অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানানো হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের তরফে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। যদিও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ চা বাগান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চিতাবাঘের কোনও সমীক্ষাই করা যায়নি। অথচ, সেই সব এলাকাতেই চিতাবাঘের সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি বন দফতরের আধিকারিকদের।
২০১৮ সালের পরে, ২০২২ সালে চিতাবাঘ নিয়ে সমীক্ষা হয়েছিল। চার বছর পর পর ওই সমীক্ষা দেশ জুড়ে চালানো হয় বলেই বন দফতর সূত্রে খবর। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, একটি প্রতিষ্ঠান এবং রাজ্য বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল কেবলমাত্র উত্তরবঙ্গের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলিতেই। সেখানেই ২৩৩টি চিতাবাঘ রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। এ দিন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভি বলেন, ‘‘কেবলমাত্র সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তথ্য এসেছে। চা বাগানগুলিতে চিতাবাঘ অনেক বেশি রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনে উত্তরবঙ্গ জুড়েই সমীক্ষা বন দফতর করবে।’’ বন এবং বন্যপ্রাণ নিয়ে কর্মরত সংস্থাগুলিরও দাবি, উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিতে এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চেয়েও বেশি সংখ্যায় চিতাবাঘ রয়েছে বলেই তাদের বিশ্বাস।
চা বাগানগুলি নিয়ে চিতাবাঘের শুমারি অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ। বন দফতর সূত্রের দাবি, তাই রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সংস্থা উদ্যোগী হয়নি তা করার। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে দিয়ে মানুষ এবং চিতাবাঘের সংঘাত কমানোর বিভিন্ন প্রকল্প বাগানগুলিতে নেওয়া হয়েছে। এ রকম একটি প্রকল্প চালায় বন্যপ্রাণ নিয়ে কর্মরত সংস্থা ‘স্ন্যাপ’। সংস্থার প্রধান কৌস্তুভ চৌধুরী বলেন, ‘‘আধিকারিকদের কাছে বার বার দাবি জানানো হয়েছে, জনবসতি লাগোয়া এলাকা, বাগানগুলিতে চিতাবাঘ অনেক বেশি। যথাযথ সমীক্ষা হলে পশু-মানুষ সংঘাত সামাল দেওয়া অনেক সহজ হবে।’’