Dinhata

মৃতের বাড়িতে উদয়ন, চর্চায় কেন্দ্র-বিএসএফ

তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা মৃতের বাড়িতে গেলে প্রেমের মা সুকমনি বর্মণ কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাকা সুনীল বর্মণ পুলিশের কাছে বিএসএফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিনহাটা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:০৮
Share:

মৃত প্রেম বর্মণের বাড়ির সামনে মন্ত্রী উদয়ন গুহ। নিজস্ব চিত্র

দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম গীতালদহে বিএসএফের ছোড়া রবার বুলেটে মৃত প্রেম বর্মণের বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে কথা বললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। পাশাপাশি, সেদিনের ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন। তাঁরা সকলেই পরিবারটির পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সমালোচনা করেন বিএসএফ ও কেন্দ্র সরকারের। কী ভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, খোঁজ নেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলটি।

Advertisement

তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা মৃতের বাড়িতে গেলে প্রেমের মা সুকমনি বর্মণ কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাকা সুনীল বর্মণ পুলিশের কাছে বিএসএফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। বিএসএফের তরফে কোনও বক্তব্য মেলেনি।

মন্ত্রী উদয়ন জানান, বিএসএফকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থ করার কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। নিরাপত্তা দেওয়া যাদের দায়িত্ব, তারা নিরাপত্তার নামে মানুষকে হত্যা করছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে। কারণ, এখানে যে বিএসএফ জওয়ানদের পোস্টিং দেওয়া হয়, তাঁদের নিয়ে আসা হয় বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে। এ রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল, তাই তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখানে জুলুম চালাতে।

Advertisement

মন্ত্রী আরও জানান, কোচবিহার জেলার মধ্যে তৃণমূল সবচেয়ে শক্তিশালী দিনহাটা ও সিতাইয়ে। এখানে বিএসএফ নানা ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। গত এক বছরে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ‘মৃত্যু’ হয়েছে পাঁচ জনের। সীমান্তে মহিলাদের উপর অত্যাচার চলে। ছেলেটি অভিযুক্ত হয়ে থাকলে বিএসএফ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে পারতো। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘‘নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যদের মুখোমুখি দাঁড়ান, বুঝবেন কতটা যন্ত্রণা।’’ প্রেম বিএসএফকে আক্রমণ করলে ঘটনাস্থলে জমিতে কোনও চিহ্ন থাকতো। তা নেই। জমিতে তামাক গাছ নষ্ট হয়নি। ফলে, পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর।

বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া জানান, সিতাই বিধানসভার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় গত কয়েক মাসে পাঁচ-ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে বিএসএফের ‘গুলিতে’। এতে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগামী বিধানসভার অধিবেশনে বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘যাঁরা দেশকে রক্ষা করছে, তাঁদের নানা ভাবে আক্রমণ ও অপমান করছে তৃণমূল। সীমা অতিক্রম করেছেন মন্ত্রী।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement