জন্মদিনে: (উপরে) তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাটের পুরসভার তরফে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান। মঙ্গলবার হিলি মোড় এলাকায়। (নীচে) জন্মদিবস উপলক্ষে মশাল মিছিলের আয়োজন করল বিজেপি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে মিছিলটি শুরু হয়। তাতে অংশ নেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘মশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে আমরা শপথ নিয়েছি, স্বামীজি যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই আদর্শে সোনার বাংলা গড়ব।’’ নিজস্ব চিত্র।
মালদহ
একদল ছুটলেন মনীষীদের মূর্তি পরিষ্কারে। একদল ছুটলেন হাসপাতালে ফল বিলোতে। স্বামীজির জন্মদিবসে ইংরেজবাজার শহর জুড়ে এমনই একাধিক কর্মসূচি নিল বিজেপির যুব মোর্চা। এরই সঙ্গে শহরের মালঞ্চপল্লী এলাকায় চলে বিজেপির তরফে মাস্ক ও চকলেট বিলিও। সব শেষে বিজেপির নেতারা ছুটলেন স্বামীজির মূর্তিতে মালা দিতে। যুব মোর্চার নেতা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘‘সেবাই ধর্ম ছিল স্বামিজীর। তাই সেবামূলক কাজের মাধ্যমে এ দিন দলের তরফে স্বামীজি স্মরণ করা হয়েছে।’’
নীহার-কৃষ্ণেন্দু টক্কর
মিশন রোডে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দেন মহারাজ, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। এরপরে মালা দেবেন কে? পুরপ্রশাসক নীহার রঞ্জন ঘোষ, না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী-এই নিয়ে দুজনের মধ্যে চলে টানাপোড়েন। কৃষ্ণেন্দু পায়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। নীহার মূর্তিতে মালা দেন।
তৃণমূলের তরফেও নিজের ওয়ার্ডে স্বামীজি স্মরণ করেন নরেন্দ্র নাথ তিওয়ারি এবং অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও।
ফুল-মালা নিয়ে হাজির বামেরাও
মিশন ও প্রশাসনের স্বামীজি স্মরণ শেষ হতেই হাতে ফুল, ফেস্টুন নিয়ে হাজির বাম নেতা-নেত্রীরা। শহর জুড়ে মিছিল করে মিশন রোডে বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে হাজির হন তাঁরা। এরপরে একএক করে স্বামীজির মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের নেতারা। সিপিএম নেতা কৌশিক মিশ্র বলেন, আমাদের যুগনায়ক স্বামীজি। সেই যুগনায়ককে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর
স্মরণ অনুষ্ঠানে খিচু়ড়ি
পাত পেড়ে খিচুড়ি খাচ্ছেন একদল মানুষ। সাত সকালে খিচুড়ি কোথায় পেলেন? এক যুবক বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শীতের সকালে খিচুড়ি খেতে হাজির হয়ে যায় সাংসদের স্বামীজি স্মরণে। সুকান্ত হিলি থেকে হরিরামপুর স্বামীজি স্মরণে ছুটে বেড়ান তিনি। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিবেকানন্দের জীবনীও পাঠ করে সুকান্ত।
ফুটবল মাঠে তৃণমূল
বিজেপি শিবির যখন খিচুড়ি নিয়ে ব্যস্ত, তখন খেলার মাঠে স্বামীজিকে স্মরণ করল তৃণমূল। এদিন সকালে কুশমন্ডিতে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মহিলাদের ফুটবল প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় শামিল হন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি অম্বরীশ সরকার। খেলায় মাঠেই স্বামীজির ভাবধারা নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।
দৌড়ে বামেরাও
এসএফআইয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে মৈত্রী দৌড় প্রতিযোগিতা হয় দক্ষিণ দিনাজপুরে। এরই পাশাপাশি দলের জেলা কার্যালয়ে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দেন বাম নেতারা।
উত্তর দিনাজপুর
সকালেই দখল মূর্তি
সকাল সাড়ে ন’টা। রায়গঞ্জের বিবেকানন্দ মোড় এলাকায় হাজির পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাসের তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। এক এক করে তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে ফুল, মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। তারপরে শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রম চত্বর এবং ১৩ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিবেকানন্দের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান সন্দীপেরা। পরে চলে পদযাত্রা ও রক্তদান শিবিরও। ইসলামপুরেও প্রভাতফেরি করেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। করিম চৌধুরীও পৃথক ভাবে শ্রদ্ধা জানান স্বামীজিকে। তৃণমূলের যুব সভাপতি গৌতম পালও স্বামীজির জন্মদিবস সংক্রান্ত একাধিক কর্মসূচিতে হাজির হন।
তৃণমূল সরতেই বিজেপি
তৃণমূল সরতেই বিবেকানন্দ মোড়ের দখল নেয় বিজেপি। বিজেপির তরফ থেকে বিবেকানন্দের মূর্তিতে চলে ফুল, মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো। এক বিজেপি নেতা বলেন, আমরা আগে এসেও দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে হল। তৃণমূলের ফুল দিয়েই ঘন্টা খানেক সময় লাগল। যুব মোর্চার তরফ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে বিলি করা হয় ফল। যোগা শিবিরও করে যুব মোর্চা। এমনকী, রক্তদান শিবিরেও আয়োজন করা হয়েছিল।
ইসলামপুরে বিজেপির বিবেকানন্দ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।
জাঁকজমকে নেই বামেরা
তৃণমূল-বিজেপির মতো বিবেকানন্দ স্মরণে রাস্তায় নামেনি বামেরা। উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ই দলীয় কার্যালয়গুলিতে চলে বিবকানন্দ স্মরণ। এদিন সিপিএমের সিপিএমের পাঞ্জিপাড়া দলীয় অফিসে স্বামী বিবেকানন্দ ছবিতে মাল্যদান করেন স্থানীয় নেতৃত্ব।
তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ সাহা, গৌর আচার্য, নীহার বিশ্বাস, মেহেদি হেদায়েতুল্লা, অভিজিৎ পাল