—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সাত মাস পরে, জলপাইগুড়ির কোরক হোমের নাবালক আবাসিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। বুধবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
আগামী শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হবে। সূত্রের দাবি, সিবিআই রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের তদন্তে কিছু ‘অসংলগ্নতার’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ দিন সিবিআই তথা কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী অজয় সিংহানিয়া আদালতে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক গবেষণাগার থেকে একটি রিপোর্ট আসা এখনও বাকি রয়েছে। সিবিআইয়ের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের এবং মৃত নাবালকের পরিবারের আইনজীবীকেও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী অদিতিশঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “সিবিআই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আমরাও রিপোর্ট পেয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জেনেছি, বড় কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়েনি। শুক্রবার মামলার ফের শুনানি রয়েছে।” নাবালকের পরিবারের আইনজীবী সুমন সেহেনবীশ বলেন, “সিবিআইয়ের রিপোর্ট পড়েই, যা বলার বলতে পারব।”
গত ডিসেম্বরে এই হোমে এক নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা ছিল। মামলার জামিনের আবেদনের শুনানি হাই কোর্টে চলাকালীন নাবালকের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করে হাই কোর্ট। নাবালকের পরিবারের তরফ থেকে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। পুলিশের রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে হাই কোর্ট মামলাটির তদন্তভার সিবিআইকে দিতে নির্দেশ দেয়। প্রয়োজনে, সিবিআই দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্ত করতে পারবে বলেও আদালত জানায়।
সিবিআই ফের ময়না-তদন্ত করে। সে সব রিপোর্টই আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। আগামী শুক্রবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের শুনানিতে সিবিআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট দেখে, আদালত পরবর্তী নির্দেশ দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।