Jalpaiguri

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে নথি তলব করল সিবিআই

জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিক-কর্মীদের কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসে ডাক পড়েছে আগামী ২২ মে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ ১০:০০
Share:

নথি চাইলে সিবিআই। — ফাইল চিত্র।

নিয়োগ মামলায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে নথি চেয়ে পাঠাল সিবিআই। জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এবং শিলিগুড়ি মহকুমা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে নথি চেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগের নথি চাওয়া হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে যে ক’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল, তাতে ‘কাট-অফ’ নম্বর তথা ন্যূনতম কত নম্বর বা তার বেশি পেলে আবেদনকারীদের নিয়োগ করা হয়েছে, তা জেলাগুলির থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। ভাষাগত মাধ্যম, নিয়োগের শ্রেণি ও জাতিভিত্তিক সব ক্ষেত্রের ‘কাট-অফ’ নম্বর কত ছিল, তা জানতে চেয়েছে সিবিআই। সেই সঙ্গে নিয়োগ করা হয়েছে যাঁদের, তাঁদের সবার নম্বর এবং তথ্যও চাওয়া হয়েছে বলেসূত্রের খবর।

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিক-কর্মীদের কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসে ডাক পড়েছে আগামী ২২ মে। কোচবিহার জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিক-কর্মীদের নিয়োগের নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে আগামী ১৬ মে। তার পরের দিন আলিপুরদুয়ার, তার পরে, শিলিগুড়ি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে ডাকা হয়েছে। মালদহ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিদের সিবিআই অফিসে যেতে হবে আগামী ১১ মে। হাজিরার নির্দেশিকা জারি করেছেন সিবিআইয়ের ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক।

সূত্রের খবর, সিবিআই নির্দেশিকায় জানিয়েছে, নিয়োগের যে সব নথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ জমা দেবে, তার প্রতিটি পাতায় যেন সংশ্লিষ্ট দফতরের ‘সিল’ থাকে। কাগজের সঙ্গে ‘পেনড্রাইভ’-এও ওই তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি যে তালিকা বা নথি দেবে, তাতে যা যা উল্লেখ রয়েছে, সে সব ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন এমন কর্মী বা আধিকারিকদের সিবিআই অফিসে পাঠাতে হবে। সকাল ১০টার মধ্যে প্রতিনিধিদের সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

২০১৬ সাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় অন্তত দু’হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। জেলা ভাগ হওয়ার পরেও, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় কিছু ক্ষেত্রে একই সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। সব মিলিয়ে নিয়োগের সংখ্যা তিন হাজারের কিছু বেশি। আগামী ২২ মে জলপাইগুড়ি বা অন্যান্য জেলাকে নির্দিষ্ট যে দিনে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে হবে, সে দিন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিক বা কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

জলপাইগুড়ি জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন, ‘‘সিবিআই আমাদের সরাসরি কিছু পাঠায়নি। তবে নির্দেশিকা দেখেছি। আগামী সোমবার আমরা এ নিয়ে বৈঠকে বসব। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।’’ বামপন্থী একটি শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, সব জেলার তথ্য খতিয়ে দেখা হোক। ২০১৭ সালে যে নিয়োগ হয়েছে, তার কোনও তালিকা প্রকাশই করা হয়নি। নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement