সন্দেহ হওয়ায় আটক করে জেরা চলছিলই। এ বার রামরতন অগ্রবাল সহ তিন জনকে খুন ও বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় নির্মল সিংহের দিদি ও ভগ্নীপতিকেও গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতদের নাম অমৃতা ঘোষ ও চাঁদ ঘোষ। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক অমৃতাকে ৫ দিন ও চাঁদকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মল জেরায় জানিয়েছেন যে, দিদি ও ভগ্নীপতিকে নিয়েই লুঠ করা টাকা ও অলঙ্কার লুকিয়ে ছিলেন।
সিআইডির স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অজয় প্রসাদ বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে আরও টাকা ও অলঙ্কার রয়েছে কি না বা এঁরা সকলেই ওই খুনের ঘটনায় জড়িয়ে কি না, তা জানতে তিন জনকেই হেফাজতে রেখে জেরা করা হবে। প্রয়োজনে তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে। এ দিকে খুনির শাস্তির দাবিতে এলাকায় জোট বাঁধছে সুবিচার আদায় কমিটি। শীঘ্রই তারা ওই দাবিতে পথে নামতে চলেছে। গত ২১ জুলাই রাতে শহরের বিবেকানন্দ পল্লিতে নিজের বাড়িতেই এক পরিচারক সহ সস্ত্রীক খুন হন ব্যবসায়ী রামরতন অগ্রবাল। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি এই খুনের ঘটনায় তদন্তে নামে। শনিবার সকালে সিআইডি রামরতনবাবুর ইটভাটার দুই কর্মী রঘু সাহা ও সাবির আলি এবং বিকেলে পুরাতন পরিচারক নির্মল সিংহকে আটক করে। বাকি দু’জনকে ছেড়ে দিলেও পাশের বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সোমবার নির্মলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে দিনই তাঁকে আদালতে তুলে সিআইডি ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছে।
সিআইডি সুত্রে জানা গিয়েছে, নির্মলকে লাগাতার জেরা করেই জানা যায় তিন জনকে খুন করার পর ওই বাড়ি থেকে একটি টাকা ভরতি সিন্দুক ও প্রচুর অলঙ্কার লুঠ করা হয়েছিল। সেই টাকা ও অলঙ্কার নিয়ে নির্মল নলডুবিতে থাকা দিদির বাড়িতেই যান. দিদির ঘরে বসেই তাঁরা ওই অলঙ্কার ও টাকা লুকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করেন এবং ভোরের আলো ফোটার আগেই তাঁরা অলঙ্কারগুলি ওই বাড়ির কাছেই কচু বনে এবং সিন্দুক ও টাকা পুকুরে লুকিয়ে রাখেন। নির্মলকে দফায় দফায় জেরা করে মঙ্গলবার রাতে অলঙ্কার ও বুধবার রাতে ওই পুকুর থেকে সিন্দুক এবং ৮ লক্ষ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সে সময় নির্মলের দিদি ও ভগ্নীপতি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তাতেই তাঁদের উপর সন্দেহ বাড়ে। সিআইডির অভিযোগ, নির্মলের দিদি ও ভগ্নীপতি পুরো ঘটনা জানতেন। কিন্তু পুরো বিষয়টি তাঁরা চেপে যান। সে সময় নির্মলের দিদি ও ভগ্নীপতি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তাতেই তাঁদের উপর সন্দেহ বাড়ে। সিআইডির অভিযোগ, নির্মলের দিদি ও ভগ্নীপতি পুরো ঘটনা জানতেন। কিন্তু পুরো বিষয়টি তাঁরা চেপে যান। সে সময় নির্মলের দিদি ও ভগ্নীপতি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।