ধূপগুড়ির খাদ্য দফতরের সামনে গ্রাহকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
আজ থেকে বছর ২৩ আগে সরকারি কর্মচারীদের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে গান গেয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা। সেই ছবিই ধরা পড়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির খাদ্য সরবরাহ বিভাগের দফতরে। সকাল থেকে অফিসের সামনে হত্যে দিয়ে রয়েছেন গ্রাহকরা। অথচ দেখা নেই আধিকারিকদের। উঠছে এমনই অভিযোগ।
সকাল ১০টা থেকে দফতর খোলার কথা। কিন্তু ধূপগুড়ির এই দফতর ব্যতিরক্রমী। এর দরজা খোলে দুপুর ১২টায়। তাও মাধ্যম ২ ঘণ্টার জন্য। ফের বেলা ২টোয় বন্ধ। এমন নোটিশও ঝোলানো রয়েছে দফতরের দরজার সামনে। সপ্তাহে শুধু ২ দিন খোলা রাখা হয় ধূপগুড়ির এই সরকারি দফতরটি।
কিন্তু কেন এমন আজব নিয়ম? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি এবং বানারহাট এই ৩ ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দফতর সামলান মাত্র এক জন আধিকারিক। আর সে কারণেই সপ্তাহে ২ দিন খোলা থাকে ধূপগুড়ির ওই দফতর। ফলে ওই আধিকারিকের দেখা পেতে রীতিমতো অঙ্ক কষতে হয় গ্রাহকদের।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ধূপগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেশন কার্ডের নানা সমস্যা নিয়ে ওই দফতরের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কেউ এসেছিলেন ডিজিটাল কার্ড তৈরির ব্যাপারে কথা বলতে। কেউ বা এসেছিলেন রেশন কার্ডের ভুল সংশোধনের করতে। আবার অনেকে এসেছিলেন রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে। ওই দফতরের সামনে অপেক্ষায় থাকা যোগেশ্বরী রায় বললেন, ‘‘লকডাউনের সময়ে রেশন পাচ্ছি না। কার্ডের জন্য ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।’’ সূর্য তখন মাথার উপরে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ধূপগুড়িরই বাসিন্দা মফিজুল হক অভিযোগ করলেন, ‘‘বেলা ১২টা বেজে গেল। অথচ এখনও কোনও আধিকারিকের দেখা নেই!’’ বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ির দফতরে আধিকারিকের বসার কথা থাকলেও, বেলা গড়িয়ে গেলেও দেখা মেলেনি তাঁর।
পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়ে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার বলেন, ‘‘৩ ব্লকের দফতর সামলাতে হচ্ছে এক জন আধিকারিককে। আর সে কারণেই হয়রানি শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন দীনেশ।