দুর্ঘটনাগ্রস্ত: নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে গাড়িটি। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
নয়ানজুলিতে গাড়ি পড়ে প্রাণ হারালেন চার জন। যাদের মধ্যে রয়েছে এক নাবালিকাও। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও তিন জন। বৃহস্পতিবার সকালে মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা থানার কুশিয়ারবাড়ি সংলগ্ন ৩১ নং জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত এবং জখম ব্যক্তিরা সকলেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা। পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে দায়ের হওয়া একটি নাবালিকা অপহরণ সংক্রান্ত মামলায় দিনহাটার সাহেবগঞ্জ গিয়েছিলেন ওই গাড়ির যাত্রীরা। সেখানে নাবালিকাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা, উদ্ধার হওয়া নাবালিকাও। গাড়ির চালক রঞ্জন সরকার পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা ও তার মা ছাড়া বাকিরা যারা মারা গিয়েছেন তাঁরা হলেন প্রধাননগর থানার কনস্টেবল গোবিন্দ সেন (৫০) এবং নাবালিকার পরিবারের পরিচিত প্রদীপ দেবনাথ (৪৮)। জখম হয়েছেন অভিযুক্ত যুবক, প্রধাননগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ দাস এবং মহিলা কনস্টেবল চন্দনা পাল।
কী ভাবে হল দুর্ঘটনা? কোচবিহার জেলা ডিএসপি (ট্রাফিক) চন্দন দাস জানান, শিলিগুড়ি ফেরার পথে কুশিয়ারবাড়ি এলাকায় সকাল সাতটার আশেপাশে জাতীয় সড়কের উপর একটি কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে গাড়িটি। দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যান। খবর পেয়ে চলে আসে ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। তাঁরাই যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যান ঘোকসাডাঙ্গা প্রাথমিক হাসপাতেল নিয়ে যান। সেখানে চার জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকিদের সেখানে ভর্তি করা হয় বলে সূত্রের খবর। পরে মাথাভাঙায় ময়নাতদন্তের পরে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেহ। এ দিনই ক্রেন এনে নয়ানজুলি থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।