তল্লাশি: বর্ষার তিস্তায় নেমেছে র্যাফ্ট। চলছে তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র
পাহাড় থেকে ক্রমাগত গড়িয়ে পড়েছে কাদামাটি, নুড়ি-পাথর। কোথাও কোথাও জল বইছে রাস্তার উপর দিয়ে। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি রাস্তা এর ফলে হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক। এমন রাস্তায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে তলিয়ে গেল খরস্রোতা তিস্তায়। গাড়ির চালক এবং দুই পর্যটকের কোনও চিহ্ন এখনও মেলেনি। প্রায় একই অবস্থা হতে পারত আরও একটি গাড়ির। সন্ধ্যা অবধি তল্লাশি অভিযান চললেও খুঁজে পাওয়া যায়নি কাউকে। হদিশ মেলেনি গাড়িটিরও।
একই দিনে আর একটি গাড়িও গড়িয়ে যায় তিস্তার ঢাল ধরে। কিন্তু শেষ অবধি আটকে খাদের ধারে গাছ ও ঝোপঝাড় বাঁচিয়ে দেয় গাড়িটিকে। ফলে রক্ষা পেলেন সেই গাড়ির চালক ও ছয় পর্যটক।
বুধবার দুপুরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সেবক ফাঁড়ি এলাকার করোনেশন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রথম ঘটনাটি ঘটে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, র্যাফ্টিংয়ের দল, দমকল ও পুলিশ উদ্ধার কাজে নেমেছে। গাড়িটি বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সিকিমের দিকে যাচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আরও একটু এগিয়ে তিস্তাবাজার ফাঁড়ির মামখোলা এলাকায় খাদে গড়িয়ে গিয়েছিল আরও একটি গাড়ি। তাতে ছিলেন বাংলাদেশের ছয় পর্যটক। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলা। শেষ অবধি বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। তাঁদের উদ্ধার করা হয়। তার পরে অন্য গাড়িতে চেপে তাঁরা গ্যাংটক চলে যান।
গত কয়েক দিনের মতো এ দিনও বৃষ্টিতে ঝাপসা হয়ে আসছিল দৃষ্টি। এর মধ্যে বুধবার দুপুরে বাগডোগরা থেকে দুই রাজস্থানি পর্যটক গ্যাংটক যাচ্ছিলেন একটি ছোট গাড়িতে। জলকাদায় পিছলে তিস্তায় পড়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক ভলান্টিয়ারকে এক বাইক আরোহী গাড়ি পড়ে যাওয়ার খবর দেন। তল্লাশি শুরু হতে ঘটনাস্থলের কাছে মেলে গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, নম্বর প্লেট ও গাড়ির ক্যারিয়ার। তার পর যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, নিখোঁজ রাজস্থানের বাসিন্দাদের বাড়ির বুন্দি এলাকায়। এক জনের নাম গৌরব শর্মা। অন্য জন অমন গর্গ।
দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘চালকের নাম রাকেশ রাই। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়ির ভানুনগর এলাকায়।’’