প্রতীকী ছবি।
ভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে, যুযুধান দুই শিবিরের নেতাদের ‘হোমটাস্ক’ ততই বাড়ছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় এসে যুব তৃণমূল নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতি বুথে প্রতিদিন ২৫ জনকে দলে যোগদান করাতে হবে। ওদিকে, বিজেপির সব বুথ সভাপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘কিসান কিট’। এটি আদতে গেরুয়া রঙের একটি ঝোলা ব্যাগ, তাতে প্রচার-সামগ্রী ঠাসা। নেতৃত্বের নির্দেশ, ব্যাগে রাখা তিনটে ফ্লেক্সের মধ্যে একটি নিজের বাড়ির সামনে টাঙাতে হবে, অন্য দুটি বুথে। ১০টি পতাকা নিজের বুথে লাগাতে হবে। ‘কৃষকদের পাশে বিজেপি রয়েছে’ দাবি করা লিফলেট বিলি করে বুথের সব বাড়ির সামনে স্টিকার সেঁটে দিতে হবে।
ভোটের আগে দুই শিবিরই চাইছে নিজেদের দুর্বল তথা অস্বস্তির জায়গা মেরামত করতে। নতুন ভোটাররা তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন, এ কথা গত লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল নেতারা দাবি করছেন। সেই নতুন ভোটাররাই এখন ‘লক্ষ্য’ অভিষেকের। তাঁর নির্দেশ, ১০ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন অন্তত ২৫ জন নতুন ভোটারকে দলে যোগদান করাতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের অধিনায়ক যে নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলি আমরা কর্মীরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব। নতুন ভোটাররা অনেকেই দলে যোগদান করতে চাইছেন, দ্রুত সেই কর্মসূচি শুরু হবে।” ভোটার তালিকা ধরে নতুন ভোটারদের নাম-ঠিকানা বের করেছে তৃণমূল। ভোটারদের মোবাইল নম্বরও জোগাড় করা হচ্ছে। সব নতুন ভোটারের কাছেই দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাঠাচ্ছে যুব তৃণমূল।
দেশ জুড়ে কৃষক আন্দোলন নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। সেই অস্বস্তি কাটাতেই বিজেপির কৃষকদের পাশে থাকার দাবিতে প্রচার। বুথ সভাপতিদের দেওয়া ব্যাগে মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ারও রয়েছে। সঙ্গে পদ্মফুল ছাপা একটি উত্তরীয়। যেটি গলায় ঝুলিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে হবে বুথ সভাপতিকে। নিজের বাড়ির সামনে ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রচার শুরু
করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে এক বিজেপি নেতার রসিকতা, “এই নির্দেশ শুনে মনে হল দল বলতে চাইছে, আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শিখাও।”
এ দিন দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীও নিজের বাড়ির সামনে ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন। বাপি বললেন, “সব বুথে ব্যাগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।”