প্রতীকী ছবি।
তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে শহরে। ডিসেম্বরের শেষে পারদ আরও নামবে বলে আশা বাসিন্দাদের। তবে উত্তাপ বাড়তে চলেছে কোচবিহারের রাস্তায়। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মহামিছিলের তোড়জোড় শুরু হয়েছে যুযুধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে।
ওই আইনের প্রতিবাদে তৃণমূল এ মাসের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে শহরে মহামিছিলের পরিকল্পনা নিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি ওই আইনের সমর্থনে ডিসেম্বরের মধ্যেই মহামিছিল আয়োজনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। ওই আইন নিয়ে নিজেদের ‘পালে’ হাওয়া টানতে দুই শিবিরই একাধিক কর্মসূচি নিচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আইনের পক্ষে বা বিপক্ষে— যেমনই হোক না কেন, কেউই এটা থেকে ‘সুফল’ হাতছাড়া করতে চাইছে না। তাই মহামিছিলে লোক টানার লড়াইয়েও স্নায়ুর লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে চাইবেন দুই শিবিরের নেতারা। ফলে জেলার রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে।
তৃণমূলের তরফে ২৩ ডিসেম্বর কোচবিহারের সবক’টি মহকুমা সদরে এলাকাভিত্তিক বড় মিছিলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দলের অন্দরের খবর, কোচবিহার সদর, দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জ মহকুমায় দলের কোন নেতারা মিছিলের প্রস্তুতি, তদারকির দায়িত্বে থাকবেন, তাও চূড়ান্ত। ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতেও শহরে মহামিছিল করবে তারা। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। মানুষের হয়রানি বাড়াতে চাইছে। এসবের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। মহকুমাভিত্তিক মিছিলের পরে মহামিছিলও করা হবে। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ওই মহামিছিল হবে।” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাটাবাড়ি বিধানসভায় মশাল মিছিলের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
গেরুয়া শিবিরের দাবি, এ মাসেই তাদের মহামিছিলে অন্তত ২৫ হাজার লোকের জমায়েত হবে। তার হোমওয়ার্কও শুরু হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে দলের উত্তরবঙ্গ জোনের উদ্যোগে মিছিল হবে। ওই দিনই দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মহামিছিলের তারিখ চূড়ান্ত করতে চাইছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূল ও বিভিন্ন বিরোধী দল মানুষের মধ্যে নানা অপপ্রচার করছে। বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই আপাতত সেইসবের জবাবদিহিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরেই কোচবিহারে বিশাল মহামিছিলও হবে।”