প্রতীকী ছবি
ভাড়া সমস্যা রয়েছে, সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে শ্রমিকদের নিয়েও টানাপড়েন। সেই কারণেই আজ, সোমবার থেকে কোচবিহার জেলায় পথে নামছে না কোনও বেসরকারি বাস। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলাতেও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বেসরকারি বাস চালাতে চাইছেন না বাস মালিকেরা। এই ইস্যুতে বাস মালিকদের সমর্থন জানিয়েছে শাসক দলের পরিবহণ শ্রমিকদের সংগঠনও। ডুয়ার্স মিনিবাস মালিকদের সংগঠনের তরফে উত্তম সাহা বলেন, ‘‘প্রায় দু’মাস লকডাউনে পরিবহণ শিল্পের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকারি নির্দেশ মেনে বাস চালাতে গেলে, আমাদের অনাহারে মরতে হবে।’’
কোচবিহারের বাস মালিকদের একাংশ জানান, এই সময়ে শ্রমিকদের অনেকেই রাজি হচ্ছেন না কাজ করতে। কারণ তাঁদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। সেই সঙ্গেই ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস রাস্তায় চলাচল করলে বহু টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হবে মালিকদের। কোচবিহার আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সম্পাদক তপন গুহরায় বলেন, ‘‘অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি যাতে শ্রমিক সংগঠন ও মালিক সংগঠনকে একসঙ্গে রেখে বৈঠক করা হয়।’’ প্রশাসনের তরফে ওই বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার কোচবিহার মিনিবাস স্ট্যান্ডে একাধিক শ্রমিক সংগঠন এবং বাস মালিকরা একটি আলোচনায় বসেন। পরে বাস মালিকদের অনেকেই জানান, এই সময়ে সরকারি ভাবে কিছু বাস ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সেই বাসের কর্মীদের অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। আর বাস পরিষেবা চালু হলে একদিকে লোকসান, অন্যদিকে নিরাপত্তার সমস্যা তৈরি হবে।
২০ জন যাত্রী নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাস চালালে, প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ টাকা করে ক্ষতি হবে বলে দাবি জলপাইগুড়ি জেলার বাস মালিকদের। লকডাউনের সময়েও বাস মালিকেরা বাসের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন যতটা সম্ভব দিচ্ছেন বলেও দাবি মালিক সংগঠনগুলির।
আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নও মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে একমত। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি শুভেন্দু বসু বলেন, ‘‘শিল্প রক্ষার জন্য আমাদের মালিক ও শ্রমিক কর্মচারী উভয়ের স্বার্থ দেখতে হয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বাস চালানো কখনও সম্ভব নয়।’’