প্রতীকী ছবি।
বুনিয়াদপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার ২৪ ঘণ্টা আগে বংশীহারির ধুমসাদিঘির কাছে উদ্ধার হল অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর দগ্ধ দেহ। মঙ্গলবার সকালে শ্মশানঘাট এলাকায় খাঁড়ির পাশ থেকে ওই দেহ উদ্ধার করে বংশীহারি থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, ধর্ষণ করার পরে প্রমাণ লোপাটে দেহটি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই ঘটনায় কুমারগঞ্জের গণধর্ষণ-কাণ্ডের ছায়া রয়েছে বলেও দাবি করছেন এলাকাবাসীর অনেকেই।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ মাঠের কাজে গিয়ে খাঁড়ির পাশে নগ্ন, অগ্নিদগ্ধ ওই দেহ দেখতে পান এলাকার কয়েক জন। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে চলছে ২৮-হাত কালীর মেলা। এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, সেই মেলা উপলক্ষে রাত পর্যন্ত দূরদূরান্তের লোকেদের যাতায়াত লেগে রয়েছে। এমন ভিড়ের মধ্যেও কখন, কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটল তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি কুমারগঞ্জে নির্জন মাঠে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পরে খুন করে দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী বুনিয়াদপুরে আসছেন। তার আগে এমন ঘটনায় প্রশাসন ‘অস্বস্তিতে’ পড়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই বিজেপি জেলা সভাপতি বিনয় বর্মণ, সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা ঘটনাস্থলে যান। প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা। সুকান্ত বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে কুমারগঞ্জে ধর্ষণ করে খুন করার পরে কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন ফের তেমনই ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ। জেলায় একের পর এক এমন ঘটনায় মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’’
এ দিনই বুনিয়াদপুরে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি দ্রুত তদন্ত করতে। জড়িতদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না।’’ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খোঁজ চলছে জড়িতদের।