প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কাটমানি' ফেরতের নির্দেশের পরে কার্যত সিঁটিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের নেতাদের একাংশ। এই বুঝি বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু হল— এই আতঙ্কেই ঘুম ছুটেছে তাঁদের। আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে শুক্রবার দুপুরে বালুরঘাটে জেলা পরিষদের সদস্য বিশ্বনাথ পাহানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কয়েক জন অভিযোগকারী। তারা টাকা ফেরতের দাবিতে বিশ্বনাথের বাড়িও ভাঙচুর করে বলেও দাবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতার কথায়, সরকারি প্রকল্প থেকে কাটমানি খাওয়ার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার নাম করে জেলার একাধিক ছোট-বড় নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। দলনেত্রী সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতেই সেই নেতাদের ঘুম ছুটেছে। মানুষ যদি বিক্ষোভ শুরু করেন, তা হলে জেলার অধিকাংশ নেতাদের বাড়িতেই পুলিশি পাহারা বসাতে হবে বলে ওই নেতার দাবি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুরসভার ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পের বাড়ির জন্য পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা সাধারণ মানুষের থেকে ৫০-৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন এবং পঞ্চায়েত এলাকায় বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের কাটমানি নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রধানরা। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকে টাকা নিয়েছেন বলে দাবি। চাকরি দেওয়ার নাম করেও অনেক নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি খেয়েছেন— এই অভিযোগও উঠেছে। এখন টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ শুরু হলে কী হবে, তাই নিয়ে অনেকে চিন্তায়। সাধারণ মানুষের অনেকেই বলছেন, ‘‘চিন্তা হবে না কেন? ওই টাকায় তো প্রাসাদের মতো বাড়ি, দামি গাড়ি হয়েছে।’’ তৃণমূলের নেতা তথা গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায়ের দাবি, ‘‘আমাদের দলের হারের পিছনে এটা অন্যতম কারণ। দলের এক ডাকসাইটে নেতার মদতেই জেলার অনেক ছোট-বড় বিভিন্ন কারণে কাটমানি খেয়েছেন। দলের উচিত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।’’