সীমান্তের গ্রামে চলছে বাহিনীর নজর

বিএসএফ সূত্রের খবর, উপরতলার নির্দেশেই এমন পদক্ষেপ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সুযোগ নিতে নতুন করে অনুপ্রবেশ হতে পারে বলে বিএসএফের আশঙ্কা।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংশোধিত নাগরিক আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই সীমান্তের গ্রামগুলিতে বিএসএফ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। সাধারণত সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির কোন বাড়িতে কে কে থাকেন, তার তথ্য বিএসএফের হাতে থাকে। জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেই সব সীমান্তবর্তী গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএসএফ খোঁজখবর শুরু করেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। তাঁদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বাড়িতে নতুন কেউ এসেছে কি না, সে খোঁজ নিচ্ছেন জওয়ানেরা। শুক্রবারই জলপাইগুড়ি লাগোয়া বেরুবাড়িতে মহম্মদ নিজাম নামে এক যুবককে আটক করে বিএসএফ। বিএসএফের দাবি, ওই যুবক অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। সূত্রের খবর, ওই আত্মীয়ের বাড়ি থেকেই যুবককে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীর মাধ্যমে যুবককে এ দিন বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে বিএসএফ।

Advertisement

বিএসএফ সূত্রের খবর, উপরতলার নির্দেশেই এমন পদক্ষেপ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সুযোগ নিতে নতুন করে অনুপ্রবেশ হতে পারে বলে বিএসএফের আশঙ্কা। বেরুবাড়ির যে সব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেখানে সীমান্ত পার হওয়া সোজা। শীতকালের সকালে কুয়াশা থাকে বলে সে সময়েই এই প্রবণতা বাড়ে। আইন পাশ হওয়ার পর থেকে টহলদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি দশ মিনিট অন্তর সীমান্ত সড়কের পুরোটা চক্কর কাটছে বিএসএফের জওয়ানেরা। একটি সূত্রের দাবি, কাঁটাতারের ওপাশে লোকজন জড়ো হচ্ছে দেখে বেরুবাড়ি এলাকায় শূন্যে গুলি চালানো হয়েছিল। যদিও বিএসএফ সে দাবি মানেনি। রাজ্যের গোয়েন্দাদের দাবি, আইন পাশ হওয়ার পরে বিএসএফের সক্রিয়তার খবর নবান্নে জানানো হয়েছে।

বেরুবাড়ির এলাকার বাসিন্দা মকলেশ রহমানের কথায়, “বিএসএফ আগেও বাড়ি বাড়ি এসে খোঁজখবর করত। এখন একটু বেশি আসছে। তাতে ভালই হয়েছে, নিরাপত্তাও থাকছে। সীমান্তে তো বেড়া নেই। আমরাও ভয়েই থাকি।”

Advertisement

বেরুবাড়ির বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে, যেগুলি কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে। সেই গ্রামগুলিতে আপাতত বহিরাগতদের ঢুকতে কড়াকড়ি করেছে বিএসএফ। সীমান্তের গ্রামগুলির প্রতি বাড়িতে বলা হয়েছে, বাড়িতে কোনও আত্মীয়স্বজন এলে বিএসএফ ক্যাম্পে জানাতে হবে। তবে পুরোটাই মৌখিক নির্দেশে বলে দাবি। জেলা পুলিশের এক অফিসারের কথায়, “বিএসএফ সবসময়েই সীমান্তের গ্রামে থাকা পরিবারগুলির খোঁজখবর রাখে। এখন তা বেড়েছে বলে শুনেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement