Malda

কুপ্রস্তাবে ‘না’, বৌদিকে পেটে-যৌনাঙ্গে আঘাত করে খুনে অভিযুক্ত দেওর

মারধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে বাড়িতে ফেলে রেখে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১৩
Share:

শোকার্ত মৃতা প্রিয়ঙ্কার (ডান দিকে) পরিজনরা। —নিজস্ব চিত্র

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৌদিকে পেটে ও যৌনাঙ্গে আঘাত করে খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের ভুতনি থানার দমনটোলা এলাকায়। মৃতের গৃহবধূ প্রিয়ঙ্কা মণ্ডলের (২১)বাপের বাড়ির লোকজন জামাই-সহ শশুরবাড়ির ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার বাবার বাড়ি কাটিহারের আমেদাবাদ থানার বড় নিতাইটোলা গ্রামে। তাঁর মা দয়াবতীদেবী পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, আড়াই বছর আগে সামাজিক নিয়ম মেনে মালদার ভুতনি থানার দমনটোলা গ্রামের বাসিন্দা ফটিক মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়েতে নগদ ও সোনাদানা মিলিয়ে অনেক যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পারিবারিক অশান্তির জেরে মেয়েকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা মারধর করতেন। প্রিয়ঙ্কার মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ফটিক। জানতে পেরে প্রিয়ঙ্কা প্রতিবাদ করলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। অশান্তি চরমে উঠলে তাঁরা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। সালিশির মধ্যে বিষয়টি সাময়িক মিটে যায়।

প্রিয়ঙ্কার পরিবারের আরও অভিযোগ, সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কার দেওর সাহেব মণ্ডল প্রিয়ঙ্কাকে বারবার কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় মারধর করা হত। বুধবার রাতে ফের দেওর সাহেব কুপ্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় বৌদিকে মাটিতে ফেলে পেটে, মুখে লাথি মারতে থাকে। এমনকি যৌনাঙ্গেও আঘাত করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: বঙ্গে ভোটের পালে ‘হিন্দুত্ব হাওয়া’ টানতে অভিযান করবে হিন্দু পরিষদ

প্রিয়ঙ্কার মা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দেওর ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে বাড়িতে ফেলে রেখে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা প্রিয়ঙ্কাকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: টুইট করে রাজ্যপাল অপরাধীদের আড়াল করছেন, আইনের তোপ দাগলেন কল্যাণ

ভুতনি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ফেরার অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement