প্রতীকী ছবি।
লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে কলকাতার সংলগ্ন শহরতলিতে। রাজ্যের অন্যত্র চালু হয়েছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করা নিয়ে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলে রেল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিবহণ দফতরের সচিব রাজেশকুমার সিংহ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে এই এলাকায় ট্রেন চালু করার অনুরোধ জানান।
অথচ এ দিনই ক্ষতি সামলাতে বেশ কয়েকটি রুটে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিল রেল। রেল বোর্ডের তরফে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তাদের একটি চিঠিতে কয়েকটি ‘অ-লাভজনক’ রুটের ট্রেন বাতিল রাখতে বলা হয়েছে। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি বলেই জানান রেলকর্তারা। তবুও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হলে এই রুটগুলিতে রেল চলবে কিনা, তা সংশয় রয়েই গেল।
উত্তরবঙ্গে যাতে দ্রুত প্যাসেঞ্জার চালু হয়, সে জন্য এই এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিন অনুরোধ জানিয়েছিল রাজ্যকে। সেই সূত্রেই পরিবহণ দফতর থেকে রেলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘এত দিন রেল দাবি করছিল, রাজ্যের সম্মতি পেলে তারা ট্রেনগুলি চালু করতে রাজি। আমরা তাই রাজ্যকে বারবার চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি।’’ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জন-সংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘রাজ্যের তরফে আমাদের কাছে ওই চিঠি এসে থাকলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কিন্তু এরই মধ্যে অ-লাভজনক কয়েকটি রুটে প্যাসেঞ্জার এবং ডেমু ট্রেন আর চালাতেই চায় না রেল। রেল বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, ডেমু, ইন্টারসিটি, প্যাসেঞ্জার ট্রেন মিলিয়ে ২১ জোড়া ট্রেন বাতিল রাখা হবে। সেগুলির মধ্যে মালদহ-বালুরঘাট, এনজেপি-আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার, শিলিগুড়ি-বামনহাট, শিলিগুড়ি-দিনহাটার মতো ট্রেনও রয়েছে।
বাতিল থাকছে
• ডিব্রুগড-কলকাতা এক্সপ্রেস
• আলিপুরদুয়ার-কামাখ্যা এক্সপ্রেস • মালদহ কোর্ট-বালুরঘাট প্যাসেঞ্জার • এনজেপি-আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার
• শিলিগুড়ি-বামনহাট ডেমু
• শিলিগুড়ি-দিনহাটা ডেমু
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার এর প্রতিবাদ করে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে বড়লোকদের বেশি টাকায় পরিষেবা দিতেই এ সব করছে রেল।’’ রেলকর্মী সংগঠনগুলি সূত্রেও দাবি করা হয়, লকডাউনেও পণ্য পরিবহণে বেশি আয় হয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছেন। তা হলে ট্রেন বন্ধ হবে কেন? একটি রেল যাত্রী সমিতির সভাপতি দীপক মোহান্তি বলেন, ‘‘সাধারণদের কথা ভেবেই ট্রেনগুলি চালাক রেল।’’ যদিও রেল সূত্রে ইঙ্গিত, সেটা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ইঙ্গিত, কাঞ্চনকন্যা চালু হতে পারে। কবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।