Sikkim Flash Flood

অস্ত্র খুঁজতে তল্লাশি সেনা ও পুলিশের

সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের দাবি, সিকিমের অস্থায়ী সেনা-ছাউনিতে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৪
Share:

গাজোল ডোবা তিস্তা নদীতে সিকিম পাহাড় থেকে নেমে আসা বালি মাটি এতটাই জমেছে নদী বক্ষে নদীতে থাকা বিদ্যুতে টাওয়ারের পাকা পিলার ঢাকা পড়েছে পাশের গ্রামের সঙ্গে সমান সমান হয়েগেছে তার মধ্যেই ঝুকি নিয়ে চলছে জ্বালানি সংগ্রহ। ছবি দীপঙ্কর ঘটক

শেল, মর্টার, বিস্ফোরক খুঁজতে জলপাইগুড়ির তিস্তাপারে নামল সেনার বিশেষজ্ঞ দল। সেনাবাহিনী এবং জেলা পুলিশ যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে জলপাইগুড়িতে। গজলডোবা ব্যারাজ থেকে তল্লাশি শুরু হয়েছে। চলবে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত। অস্ত্র, বিস্ফোরক খুঁজতে ‘থার্মাল ডিভাইস’ কাজে লাগিয়েছে সেনা। সোমবারও জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীর পার থেকে উদ্ধার হয়েছে শেল। যেখান থেকে শেল উদ্ধার হচ্ছে, সেখানেই সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। গজলডোবা ব্যারাজে বসানো হয়েছে বিস্ফোরক খোঁজার রেডার। ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়েও তিস্তার পারে কাশবনে বিস্ফোরক খোঁজা হবে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের দাবি, সিকিমের অস্থায়ী সেনা-ছাউনিতে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী সেগুলি নিয়ে সীমান্তের দিকে এগোচ্ছিল। পথে অস্থায়ী শিবির করা হয়েছিল বলে সূত্রের দাবি। শিবিরে যে অস্ত্র, বিস্ফোরক মজুত করা ছিল, সবই তিস্তার হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে। সে অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর কয়েকটি ‘ইউনিট’ এসে আপাতত জলপাইগুড়িতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর আরও একটি দল জলপাইগুড়িতে আসতে চলেছে।

এ দিন গজলডোবা এবং নাথুয়ার চরে তল্লাশি হয়েছে। কোথাও বড় মাপের বিস্ফোরক মিললে ‘জিপিএস’-এর মাধ্যমে সে এলাকার তথ্য পাঠানো হয়েছে সেনার উপরমহলে। ছোট-মাঝারি মাপের বিস্ফোরক পাওয়া গেলে, তা সেখানেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বড় ধরনের বিস্ফোরক পাহারা দিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করতে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল আসবে। সেনাবাহিনীর এক অফিসারের কথায়, ‘‘যেখানে যা অস্ত্র, বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলির তথ্য উপরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে আসা নির্দেশ মেনে কাজ করা হচ্ছে।’’ আপাতত তিস্তার চরে বাসিন্দাদের চলাচল করা এবং চাষের কাজে যাওয়ায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। তিস্তার চরে আপাতত লাঙল চালানোর সময়ও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, লাঙলের ফলায় শেল লেগে বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। সেনাবাহিনীর বিশেষ সতর্কতার আরও একটি কারণ, বিপুল পরিমাণ এই অস্ত্র এবং বিস্ফোরক যাতে কোনও ভাবে দেশবিরোধী শক্তির হাতে চলে না যায়। তাই তিস্তার পার জুড়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি পাহারাও দিচ্ছেন জওয়ানেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement