ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বস্তাভর্তি কচ্ছপের শুকনো চর্বি। — নিজস্ব চিত্র।
জ্যান্ত কচ্ছপ নয়, ছক বদলে এ বার কচ্ছপের হাড়, শুকনো চর্বি বিদেশে পাচার করা হচ্ছিল। মালদহের কালিয়াচক থেকে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিন পাচারকারী। তিন জনেই উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিয়াচকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বস্তাভর্তি কচ্ছপের শুকনো চর্বি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচকের মাটাবুল শেখ নামে এক পাচারকারীকে সেগুলি দিতে এসেছিলেন তিন জন। দেওয়ার আগেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম হল সুরেশ (৩০), পাপ্পু (৪০) এবম নাওয়ালি (৬০)।
ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে কচ্ছপের প্রায় ২৭০ কেজি শুকনো চর্বি। চোরাবাজারে এক কেজির দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকা। এত দিন জ্যান্ত কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। বার বার ধরা পড়ার কারণেই পাচারের ছকে পরিবর্তন বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কচ্ছপের হাড়, শুকনো চর্বি বাংলাদেশে পাচার করা হয়। এগুলি দিয়ে যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি হয়। বাংলাদেশে তৈরি এই ওষুধের চাহিদা অনেক। সে কারণেই চোরাপথে ভারত থেকে কচ্ছপ ও তক্ষক বাংলাদেশে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ধৃত ৩ জনকে মালদহ জেলা আদালতে হাজির করে পুলিশ। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।