আনিসুরের দেহ ঘিরে স্থানীয়রা। নিজস্ব চিত্র।
ছ’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল মালদহের স্থানীয় তৃণমূলের নেতা এবং ইট ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের দেহ। আনিসুরের দেহ উদ্ধার হয়েছে বিহারের কাঠিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকার রেল লাইনের ধারে। মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলা এবং বারসই রেল স্টেশনের মধ্যে রেল লাইনের ধারে একটি গাছে শুক্রবার ঝুলন্ত অবস্থায় আনিসুরের দেহ দেখতে পান ওই এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশকে। সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঠিহার মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর শনিবার ভোরে ভালুকা হাতিছাপা গ্রামে আনিসুরের দেহ নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন। শনিবার দুপুরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
গত রবিবার সকালে কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আনিসুরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাড়ি না ফেরায় স্থানীয় ভালুকা ফাঁড়ি এবং হরিশচন্দ্রপুর থানাতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। তাঁদের দাবি, কিছুদিন আগে কালিয়াচকের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে ইটভাটা সংক্রান্ত ব্যবসা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। সুলতাননগর গ্রামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়েও আনিসুরের ঝামেলা হয়। শুক্রবার বিকালে বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে আনিসুরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তাঁর পরিবার।
আনিসুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে হরিশচন্দ্রপুর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এলাকায় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি তার মৃত্যুর পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি টাকা-পয়সার লেনদেন এবং ব্যবসায়িক কারণে আনিসুরকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।
হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ এই ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছিল। আনিসুরের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেছেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি, আমরা সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছি।’’