প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় ৬ ফেব্রুয়ারির থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র নামে রথ বের করবে বিজেপি। রবিবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ উপনগরীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিব প্রসাদ প্রমুখ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে কোচবিহার থেকে রথ বের হয়ে মালদহে গিয়ে শেষ হবে। এ ভাবে রাজ্যের অন্য চার প্রান্তেও চারটি রথ বার হবে। প্রতিটি জেলায় সবগুলি বিধানসভার মধ্যে দিয়ে দু-তিন দিন ধরে ওই পরিবর্তন রথ ঘুরবে। উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা আসনে জেতার লক্ষ্য নিয়ে দলের সাংসদ, রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বকে প্রতিটি বুথকে পাখির চোখ করে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, নিশীথ প্রামাণিক, রাজু বিস্তা, জয়ন্ত রায় উপস্থিত ছিলেন। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের সাংসদেরা ওই বৈঠকে ছিলেন না। তবে দক্ষিণ মালদহের গত লোকসভা ভোটের বিজিত প্রার্থী তথা বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র ছিলেন। ছিলেন জেলা সভাপতি ও জেলার আহ্বায়কেরা।
উত্তরবঙ্গে কয়েক বছর আগেও একবার রথ বের করার কথা ছিল বিজেপির। প্রশাসনিক অনুমতি না মেলার পর তা হয়নি। সে-বার রথ নিয়ে প্রচারে বেরনোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। এ বার পুলিশ-প্রশাসন অনুমতি না দিলেও রথ বেরোবে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেলার নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারকে হাতিয়ার করেই এ বার রথযাত্রার নাম ‘পরিবর্তন যাত্রা’ রাখা হয়েছে বলে বিজেপি জানিয়েছে।
রাতে বৈঠকের পর কৈলাস বলেছেন, ‘‘আমাদের আশা, রাজ্য সরকার রথযাত্রার অনুমতি দেবে। অনুমতি না দিলে মানুষের মধ্যে আক্রোশ তৈরি হয়। কেন্দ্র থেকে রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় জেলায় রথে থাকবেন। প্রতিটি বিধানসভায় রথ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, এদিন তিন দফায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন জেলা নেতারা। কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা বাদেও ছিলেন জেলার সংসদ নিশীথ প্রামাণিক। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ওই মিটিংয়ে। সেখানে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির হাতে একাধিক দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। কোন বুথের কী অবস্থা, সেখানে কী কী ফাঁক রয়েছে, তা দেখে ব্যবস্থা নেবে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এর বাইরে বিধানসভা ভিত্তিক যাবতীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়।
মাটিগাড়া এলাকায় বৈঠক হওয়ায় সকালে প্রথমেই মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
(সহ প্রতিবেদন অনুপরতন মোহান্ত এবং নমিতেশ ঘোষ।)