BJP

‘লেবার’ হয়ে যাব না তো, আশঙ্কা বিজেপি কর্মীদের

শুভেন্দুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী জেলা সভাপতি দেবাশিস মজুমদার ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চল ও ব্লকস্তরের একাধিক নেতার সঙ্গে শুভেন্দুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস 

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়তেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তীব্রতর হয়েছে। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁর অনুগামীরাও বিজেপিতে যাবেন। কিন্তু এ নিয়ে কিছুটা অসন্তোষের সুরই শোনা যাচ্ছে দলের অন্দরে। দলীয় কার্যালয়গুলিতে গিয়ে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে 'দাদার অনুগামীরা' দলে এলে তাঁদের কী 'দশা' হবে সেই নিয়ে আশঙ্কা। বিজেপি নেতৃত্ব কর্মীদের যদিও প্রতি বার্তা দিচ্ছেন, দলের কর্মীদের অবস্থান বা গুরুত্ব কমবে না। তবে এই আশ্বাসেও ভরসা পাচ্ছেন না গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি ব্লকেই শুভেন্দু অনুগামীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। শুভেন্দুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী জেলা সভাপতি দেবাশিস মজুমদার ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চল ও ব্লকস্তরের একাধিক নেতার সঙ্গে শুভেন্দুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। তার উপরে কিছু দিন আগে দেবাশিসকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেই শুভেন্দুর অনুগামীরাও জেলায় জেলায় বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাঁদের অনেকেই তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। দেবাশিস বলেন, ‘‘দাদা এখনও কোথাও যোগ দেননি। আপাতত রাজনীতি থেকে একটু দূরেই আছি। তবে দাদা যে দিকে যাবেন সে দিকেই যাব।’’

এই অবস্থায় জেলা বিজেপি শিবিরও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের দলে ‘স্বাগত’ জানাতে এক প্রকার প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন। যা নিয়েই বিজেপি কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা, অভিমান, আক্ষেপের পাহাড় জমতে শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক জেলা নেতা যিনি আবার গতবারের বিধানসভার প্রার্থীও ছিলেন, তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু যোগ দিলে ওঁর সঙ্গে অনেকেই আমাদের জেলাতে যোগ দেবেন। তখন আমরা বসার চেয়ারটাই পাব না। দলের কর্মী ছিলাম, এ বার হয়ত লেবার হয়ে থাকতে হবে। আমাদের উপরেই এরা ছড়ি ঘোরাবে। কিন্তু কী আর করব, এখন এটাই রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গিয়েছে।’’ অনেক বিজেপি কর্মীদের আশঙ্কা, তৃণমূল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিলে তখন দলটাকেই আর চেনা যাবে না।

Advertisement

তবে কর্মীদের এমন আশঙ্কা নিয়ে তাদের আশ্বস্ত করছেন গেরুয়া শিবির। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এখনও কেউ যোগ দেননি। যখন দেবেন তখন হয়তো এখানেও অনেকে যোগ দেবেন। তবে এ নিয়ে আমাদের কর্মীদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাঁদের কোনও গুরুত্ব কমবে না। যে যে ভাবে কাজ করছিলেন তাঁরা সে ভাবেই কাজ করবেন। তৃণমূল থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অভিযোগ তাঁদেরই মেটাতে হবে। তাঁদের দুর্নীতির দায় বিজেপি নেবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement