প্রতীকী ছবি।
কালচিনির তৃণমূল বিধায়ক উলসন চম্প্রামারির বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হতেই নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করল বলে বিজেপি সূত্রে খবর৷ বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছে, দলের আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন স্তরের অনেক নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে উইলসনকে নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে উগরে দিতে শুরু করেছেন৷ যদিও উইলসনের দাবি, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আর এই বিরোধ থাকবেনা৷ দলের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলবেন তিনি৷
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে বিজেপি৷ তারপরই কালচিনির বিধায়ক উইলসনের বিজেপি যোগ দেওয়া নিয়ে জেলার রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়৷ বিজেপিতে যোগ দিতে সেই সময় উইলসন দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন বলেও রটে যায়৷ যদিও উইলসন তা মানতে চাননি৷
তবে শনিবার দিল্লিতে পৌঁছেই উইলসন জানিয়ে দেন আজ, সোমবার তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন৷ উইলসন জানান, বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নেবেন তিনি৷ সূত্রের খবর, এ খবর চাউর হতেই বিজেপির অন্দরে জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছে৷ দল সূত্রের খবর, বিজেপির অনেক নীচু স্তরের নেতাদের অভিযোগ, এক সময় চন্দন কাঠ পাচারে নাম জড়ানো উইলসনকে দলে নিলে মানুষের কাছে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে৷ বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বিরোধের কথা ইতিমধ্যেই দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতেও শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির অনেক নেতা-কর্মী৷ যদিও উইলসনের দাবি, “কেউ কেউ চক্রান্ত করে চন্দন কাঠ পাচারে আমার নাম জড়িয়ে দিয়েছিল৷ অভিযোগ সত্য হলে, আইন ছেড়ে কথা বলত না৷ তাছাড়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আমি শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শ অনুযায়ী দলের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব৷ আমি নিশ্চিত সেই সময় দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীরাই আমায় সমর্থন করবেন৷”
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “বিধায়কদের দলে যোগদানের বিষয়টি সরাসরি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখেন৷ কালচিনির বিধায়ক দলে যোগ দিচ্ছেন কি না তা আমি জানিনা৷ এ টুকু বলতে পারি, তৃণমূলের কোনও বিধায়ককে দলে নেওয়ার ব্যাপারে শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সবাই তা মানতে বাধ্য৷ সেক্ষেত্রে কোথাও নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন বিরোধ থাকলে দলের তরফে তাঁদের বোঝানো হবে৷”
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।