প্রতীকী ছবি
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নির্দেশে পুজোর পর থেকেই জোরকদমে আলিপুরদুয়ারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন বিজেপির জেলা নেতারা। মূলত জনসংযোগের মাধ্যমে বুথস্তরে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েই এই প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের পাশাপাশি জেলার সাংসদ, বিধায়কেরাও এ বার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
সোমবার শিলিগুড়িতে দলের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বিজেপি সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি একুশের জনসংযোগের মাধ্যমে এখন থেকেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি। সেই
জনসংযোগ কী ভাবে হবে, সেটাও সর্বভারতীয় সভাপতি বলে দেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির আলিপুরদুয়ারের এক জেলা নেতা।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানান, নভেম্বর মাসের শুরুতে দলের জনসংযোগের বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তার মাধ্যমেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। গঙ্গাপ্রসাদ বলেন, “সর্বভারতীয় সভাপতি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বুথে বুথে গিয়ে জনসংযোগ করতে বলেছেন। সাংসদ ও বিধায়কদেরও কার্যকর্তাদের বাড়িতে যেতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করছি। আগামী বৈঠকে সর্বভারতীয় সভাপতি এই কাজগুলির হিসাব নেবেন বলে জানিয়েছেন। ওই বৈঠকের আগে তাঁর নির্দেশ মতো কাজ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।”
বিজেপির এক জেলা নেতা বলেন, করোনা আবহে একুশের বিধানসভা নির্বাচন হলে তৃণমূল কারচুপি করতে পারে বলেও সর্বভারতীয় সভাপতি এ দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বুথের কর্মীরা যাতে সজাগ থাকেন সে বিষয়ে জেলা নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি।
আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর কথায়, জেলার মানুষ বিজেপিকে নিয়ে তিতিবিরক্ত। সেটা বিজেপি নেতারা বুথে বুথে গেলেই টের পেয়ে যাবেন।