—প্রতীকী চিত্র।
সংখ্যালঘু এলাকার ভোটেই কি কোচবিহারে বাজিমাত করেছে তৃণমূল? কোচবিহার জেলা বিজেপির দাবি অনেকটা সে রকমই। বিজেপির দাবি, সংখ্যালঘু বুথগুলিতে একচেটিয়া ভোট পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। আর তাতে সমান তালে ছাপ্পা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
সম্প্রতি লোকসভা আসনের ফল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কোচবিহার লোকসভা আসনে বিজেপির পরাজিত প্ৰার্থী নিশীথ প্রামাণিক। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলায় আদালতের সামনে ওই বুথগুলির ‘চিত্রও’ তুলে ধরবেন নিশীথ। সে ভাবেই তিনি সমস্ত নথি সংগ্রহ করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে ১৬৪টি বুথ। বিজেপির দাবি, ওই বুথগুলিতে তৃণমূল ভোট পেয়েছে এক লক্ষ ছয় হাজার। সেখানে বিজেপির ভোট মাত্র ছয় হাজার।
নিশীথ বলেন, ‘‘বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে নথি আছে। তা আদালতের সামনে তুলে ধরব।’’ যদিও তৃণমূলের কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া পাল্টা বলেন, ‘‘কোচবিহারের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সমস্ত তথ্য রয়েছে। ভোটের পরে বিজেপি প্রার্থী নিজেও বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এখন পরাজিত হয়ে এ সব কথা বলছেন।’’
কোচবিহার লোকসভা আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী জিতেছেন ৩৯,২৫০ ভোটে। পরিসংখ্যান বলছে, কোচবিহার লোকসভা আসনের সাতটি বিধানসভার মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে চারটিতে। বাকি তিনটিতে বিজেপি। কোচবিহার লোকসভা আসনের মধ্যে ২,০৪৩টি বুথ রয়েছে। বিজেপি দাবি করছে, লোকসভা ভোটের নিরিখে ১,৭০০ বুথে এগিয়ে রয়েছে তারা। সেখানে তৃণমূল বাকি বুথে ‘লিড’ পেয়েছে। তৃণমূল ওই দাবি মানতে নারাজ। আজ, শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই তথ্য তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
কোচবিহার বিজেপির ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলেই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। কোচবিহার লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে বিজেপির বিধায়কেরা রয়েছেন। ২০১৯ সালে জয়ী হওয়ার পরে, নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও করা হয়েছিল। দলের একাংশ জানাচ্ছে, এমন একটি আসনে হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না কেন্দ্রের শাসক দল। সে জন্য দফায়-দফায় পর্যালোচনা বৈঠক করছে তারা। সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় বিজেপি যে দুর্বল, তা মেনে নিয়েছেন দলের নেতাদের প্রায় সবাই। এ বার সেই এলাকাগুলিতেও সংগঠনে জোর দেওয়ার কাজ শুরু করতে চাইছে বিজেপি।