বাসন্তীরহাট বাজারের দোকানে ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র
রাজনৈতিক গোলমাল অব্যাহত দিনহাটায়। সোমবার রাতেও দিনহাটা ২ ব্লকের বুড়িরহাট ২ পঞ্চায়েতের বাসন্তীরহাট বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর বোমাবাজি করে বাজারের ভিতরে তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর আগেই দিনহাটারই নাজিরহাটে বাজারে বোমাবাজি করে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক গণ্ডগোলের ফলে আক্রান্ত হতে হচ্ছে তাঁদের।
সোমবার রাতে বুড়িরহাটে বাজারের ভিতরে দোকানে ভাঙচুর লুটপাট ছাড়াও এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ে ভাঙচুর ও বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও বোমাবাজি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের। দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ছাড়াও জিনিসপত্র লুটপাট করে বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনহাটা নাজিরহাট রাজ্য সড়কের বাসন্তীহাটে পথ অবরোধ করে বসে। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।
বাসন্তীরহাট ব্যবসায়ী সমিতিরআহ্বায়ক শৈলেনচন্দ্র বর্মণ, সমিতির সম্পাদক কাশীনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘একাধিক দোকানে লুটপাটের ফলে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয় ব্যবসায়ীদের।’’ ব্যবসায়ীদের অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ যায়। প্রায়ই দুষ্কৃতীরা বাজারে ঢুকে হামলা চালায় বলেও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পর বেলা ১২ টা নাগাদ পথ অবরোধ উঠে যায়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা, পঞ্চায়েত প্রধান সুশান্ত বর্মণ বলেন, ‘‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দলের কার্যালয়ে বোমাবাজি ছাড়াও ভিতরে ভাঙচুর করে। তারাই বাজারে ঢুকে একাধিক দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’ দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনে নামা হবে বলেও তিনি জানান। বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক সুদেব কর্মকার পাল্টা বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। নিজেরাই নিজেদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। দোকানে ভাঙচুর-লুটের পিছনেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে পুলিশি পিকেট বসাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।