(বাঁ দিকে) সুকান্ত মজুমদার। ‘বহিরাগত’দের ধরতে তাড়া করছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সুকান্তও (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি প্রার্থীর পাড়া বয়ে এসে তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ওই প্রার্থীর বাড়ির কিছু দূরে দাঁড়িয়ে ছিল নম্বরবিহীন গাড়ি এবং মোটরবাইক। বিজেপির অভিযোগ, সেখানে কিছু ‘বহিরাগত দুষ্কৃতী’ ছিল। খবর পেয়ে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই গাড়ি এবং মোটরবাইকের পিছনে ধাওয়া করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় গাড়ি এবং মোটরবাইক ফেলে রেখে পালিয়ে যান ‘বহিরাগতরা’। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিজেপির অভিযোগ, গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের তাদের প্রার্থী রূপালি রায়ের কাছে ক্রমাগত হুমকি আসছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন গাড়ি এবং মোটরবাইক নিয়ে গ্রামের সামনে জড়ো হন। তাঁদেরই তাড়া করেন সুকান্ত মজুমদার। যে দুটি মোটরবাইক এবং গাড়ি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলির কোনও নম্বর প্লেট নেই। এ নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীদের দাবি, গত ২-৩ দিন ধরে তাঁদের ওপর ‘বহিরাগতরা’ মানসিক চাপ সৃষ্টি করছেন। এলাকায় অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি করে বেড়াচ্ছেন। এর ফলে গ্রামবাসীরাও আতঙ্কিত। এমনকি, ভোটের পর আর গ্রামে থাকতে দেওয়া হবে না বলে তিনি হুমকি পেয়েছেন, অভিযোগ বিজেপির প্রার্থী রূপালির।
মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে গঙ্গারামপুর বিডিও অফিস চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থীদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তুলে নিয়ে এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল, এমন অভিযোগ পেয়ে বিডিও অফিসে ছুটে যান বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। তিনি গিয়ে দেখেন ১৪৪ ধারা ভেঙে শুকদেবপুর অঞ্চলের মুজিবর এবং নারায়ণ নামে দুই তৃণমূলের নেতা বাইক নিয়ে বিডিও অফিস চত্বরে রয়েছেন। তাঁদের আটকান বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং কর্মী-সমর্থকেরা। ওই তৃণমূল নেতাদের সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকেরা। কিন্তু তার পরেও তিনি এলাকায় থেকে বেরিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এর পরেই শুরু হয় গন্ডগোল। তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত গঙ্গারামপুর ব্লক অফিস চত্বরের দুই প্রান্তে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।