প্রতীকী ছবি
প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিল কোচবিহার জেলা বিজেপি। গত পুর নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজতে হয়রান হয়েছিল বিজেপি। এ বারে অবশ্য ছবিটা আলাদা। এখন প্রার্থী হতে লম্বা লাইন পড়তে শুরু করেছে। কোচবিহার ছ’টি পুরসভায় কে, কোথায় দাঁড়াবেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু লড়াকু প্রার্থী মিলছে না অনেক ওয়ার্ডেই। দল মনে করছে, তৃণমূল চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ বা বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহার মতো কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লড়াকু প্রার্থী প্রয়োজন।
এই লড়াকু প্রার্থী খুঁজতেই এ বারে হন্যে হচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “সঠিক সময়েই প্রার্থীর বিষয়ে জানানো হবে।” বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবতী বলেন, “বিজেপি’র প্রত্যেক কর্মী লড়াকু। লড়াই করেই তাঁরা দল করছেন। মানুষ এ বারে রাজ্যের শাসকদলকে ছুড়ে ফেলে দেবে।” বৃহস্পতিবার বিজেপির কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় রওনা হন।
দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের লোকসভায় বিজেপির ফল সব জায়গায় ভাল হয়েছে। বিশেষ করে পুর এলাকায় অনেক ভোটের ব্যবধানেই রাজ্যের শাসক দলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটের নিরিখে বাম-কংগ্রেস তেমন কোনও লড়াইয়ে নেই। তার পরেও বিজেপি একেবারে চিন্তামুক্ত নয়।
দল মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে পুরসভা নির্বাচনের অনেকটাই ফারাক রয়েছে। পুরসভা নির্বাচনে স্থানীয় ইস্যু বা প্রার্থীর প্রভাব অনেকটাই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। এমনই নজির আছে বহু জায়গাতেই। দীর্ঘদিনের কাউন্সিলরও রয়েছে একাধিক জায়গায়। তাঁরা হয় তৃণমূল কিংবা বাম দলের। সেই সব কাউন্সিলরেরা এ বারেও যে টিকিট পাবেন তা ধরে নেওয়াই যায়।
সে ক্ষেত্রে সেই সব জায়গায় ‘লড়াকু’ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী না হলে ওই ওয়ার্ডে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে হবে বলেই মনে করছে দল। কোচবিহার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডেই যেমন কাউন্সিলর ভূষণ সিংহ। তিনি বর্তমানে কোচবিহারের পুরপ্রধান। সেই সঙ্গেই তিনি দীর্ঘ সময়ের কাউন্সিলর।
আবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডেরর কাউন্সিলর বাম নেতা মহানন্দ সাহা। ওই ওয়ার্ড এ বারে সংরক্ষিত। তার পরেও ধরে নেওয়া হচ্ছে, মহানন্দ অন্য কোনও ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াবেন।
বিজেপি নেতারা মুখে সরাসরি কিছু না বললেও ওই ওয়ার্ডগুলির জন্য ‘লড়াকু’ প্রার্থীর খোঁজ করছেন। তৃণমূলের নেতা ভূষণ সিংহ বলেন, “মানুষের জন্য আমরা কাজ করেছি। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাই অন্য কিছু নিয়ে আমরা ভাবিত নই।”
বাম নেতা মহানন্দ বলেন, “রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেউই আর তাদের চাইছে না।”