bjp kumargunj rape

গণধর্ষণ নিয়ে মাঠে গেরুয়া

উন্নাও ও জেএনইউয়ের ঘটনা নিয়ে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কুমারগঞ্জের তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে সামনে রেখেই এবারে জেএনইউয়ের পাল্টা প্রচারে তৃণমূল-বামকে কোণঠাসা করতে আসরে নামছে বিজেপি। আজ, শনিবার কোচবিহারে বিজেপির তফসিলি জাতি ও উপজাতি মোর্চার তরফে কুমারগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই মিছিল থেকেই সেই কুমারগঞ্জের কথা তুলবেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “জেএনইউয়ের ঐশী ঘোষকে নিয়ে সবাই হইচই শুরু করেছিল। কুমারগঞ্জের ঘটনার পরে তাঁরা কোথায় গেলেন? এ বারে কেন চুপ করে আছেন তাঁরা? এই তরুণী কি মানুষ নন।” যদিও বাম বা তৃণমূল কেউই বিজেপির বক্তব্যর মধ্যে ‘রাজনীতি’ ছাড়া কিছু দেখছেন না।

Advertisement

তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ওই ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। আমরা অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তি চাই।” তাঁর দাবি, বিজেপি ওই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে। বাম নেতা তথা সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ রায় দাবি করেন, ইতিমধ্যেই ওই ঘটনা নিয়ে বামেরা রাস্তায় নেমেছে। বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, “এমন ঘটনাকে কেউই সমর্থন করতে পারে না। হায়দরাবাদের ঘটনাকেও হার মানিয়েছে কুমারগঞ্জের ঘটনা। এটা ঠিক ওই ঘটনা নিয়ে যতটা ঝড় ওঠার কথা ছিল, তা হয়নি। আমরা আবারও পথে নামব।”

উন্নাও ও জেএনইউয়ের ঘটনা নিয়ে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিজেপি। তৃণমূল ও বামেরা বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত গঠনে মাঠে নেমে পড়ে। সেই অবস্থার মোকাবিলা কি ভাবে করা যায়, তা নিয়ে দিন গুণছিল বিজেপি। এই সময়ে কুমারগঞ্জের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ওই ঘটনা নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর তো বটেই, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি, কোচবিহারেও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন। বিজেপি নেতৃত্ব সেই ক্ষোভ বুঝতে পেরে পথে নামতে শুরু করে। বিজেপি মনে করছে, ওই ঘটনায় একদিকে রাজ্য সরকারের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে, তেমনই মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও ‘নারীরা সুরক্ষিত নন’ সেই বক্তব্যকেও প্রতিষ্ঠা করা যাবে। সেই সঙ্গেই উন্নাও ও জেএনইউয়ের ঘটনারও পাল্টা চাপ তৈরি করা যাবে। তাই ওই বিষয়ে জেলা থেকে গ্রামে গ্রামে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। সেই মতোই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

২১ জানুয়ারি কোচবিহার সফরে আসার কথা রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সেই সময়ের মধ্যে প্রচারের তীব্রতা বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement