পরিদর্শন: নাটাবাড়িতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দলের পার্টি অফিসে এলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সোমবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
নাটাবাড়িতে তৃণমূলের ভেঙে দেওয়া দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার করে সেখানে দলীয় পতাকা লাগিয়ে জনসংযোগ যাত্রা করলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে সোমবার রবীন্দ্রনাথ মিছিল করে যাওয়ার সময়, বিজেপি তাঁকে কালো পতাকা দেখায় বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে, সন্ত্রাসের অভিযোগে এ দিন তুফানগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিজেপি।
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নাটাবাড়িতে মিছিল করেন। তিনি বলেন, ‘‘‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসংযোগ যাত্রা হয়েছে নাটাবাড়ি এলাকায়। সেখানকার ভেঙে দেওয়া দলীয় কার্যালয় আমরা পুনরুদ্ধার করে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দিয়েছি।’’ তাঁর অভিযোগ, তিনদিন আগে বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বিভিন্ন দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়।
রবীন্দ্রাথের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে তাঁর কর্মসূচি নিয়ে অবশ্য বিজেপির অভিযোগ, জনসংযোগ যাত্রার নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য মন্ত্রীর মিছিলের পিছনে টোটোর মধ্যে তির, ধনুক এবং বোমা রাখা ছিল। তবে এই অভিযোগ হাস্যকর বলে মন্ত্রী তা অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার মিছিলের সামনে, পিছনে কোথাও কোনও টোটো ছিল না। তির, ধনুক, বোমা এ সব আসবে কোথা থেকে?’’ তাঁকে কালো পতাকার দেখানোর বিষয়ে তিনি জানান, বিজেপির কালো দিন চলছে। তাই তারা কালা দিবস পালন করছে। এ দিন বিকেলেও তুফানগঞ্জ থানার বলরামপুর ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মিছিল করে তৃণমূল। যার নেতৃত্বে ছিলেন কোচবিহার ১ ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি খোকন মিয়া, সামিউল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যদিকে, সন্ত্রাসের অভিযোগে বিজেপি তুফানগঞ্জ থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে সোমবার দুপুর একটা থেকে। নেতৃত্বে ছিলেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, তুফানগঞ্জ এবং নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির পর্যবেক্ষক উৎপল দাস, পুষ্পেন সরকার প্রমুখ।
তুফানগঞ্জ পুলিশ সূত্রে খবর, নাটাবাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়রা একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।