Post poll violence

কোচবিহারে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস রুখতে এসপিকে স্মারকলিপি দিল বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধিদল

বিজেপির অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ নিতেই চাইছে না পুলিশ। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি নিজের রাস্তা নিজেই দেখে নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ১৮:১০
Share:

পুলিশ সুপারের দফতর থেকে বেরোচ্ছেন বিজেপি বিধায়কেরা। — নিজস্ব চিত্র।

ভোট মিটতেই ইতিউতি শুরু হয়েছে সন্ত্রাস। বিরোধীদের অভিযোগ, মূক দর্শকের ভূমিকা নিচ্ছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস রুখতে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপারের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিল বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়ের দাবি, বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর চলছে। বহু বিজেপি কর্মী ইতিমধ্যেই ঘরছাড়া হয়েছেন।

Advertisement

কোচবিহার লোকসভায় এ বার তৃণমূলের প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়ার কাছে হেরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তার পর থেকেই জেলায় শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠা। বিজেপির অভিযোগ, কোচবিহারের তুফানগঞ্জের দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুরে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের পরপর সাতটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সন্তোষপুরের বিজেপি কর্মী সন্ধ্যারানি মজুমদার বলেন, ‘‘৩০ থেকে ৪০ জনের তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বহু বছর ধরে আমরা বিজেপি করি। এর আগে কোনও দিন এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’’ একই সঙ্গে এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতেও হামলা চালায় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী বলে তাঁর অভিযোগ।

জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা এবং বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার দাবিতে শুক্রবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের দফতরে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। তাতে ছিলেন তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মালতি রাভা রায়, মাথাভাঙ্গা বিধানসভার বিধায়ক সুশীলচন্দ্র বর্মণ, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে, কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক তথা বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়-সহ জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে জেলা জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। শুক্রবার তুফানগঞ্জে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়। সাতটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা পুলিশ সুপারের দফতরে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। বহু জায়গায় পুলিশ অভিযোগই নিচ্ছে না।’’ সন্ত্রাস বন্ধ না হলে এবং পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি নিজের রাস্তা নিজেই দেখে নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সুকুমার। যদিও জেলা সভাপতির এই মন্তব্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে তৃণমূল। এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য আমরা বিজয় মিছিল পর্যন্ত করিনি। বিজেপি যদি জয়লাভ করত তা হলে হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হতেন। কয়েকশো বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিত। বহু মানুষ খুন হত। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্কই নেই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement