পৃথক রাজ্য নিয়ে বিতর্ক ওসকালেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাণান্তকর গরম চলতে থাকায় রাজ্যে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ২ মে থেকে চালু করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে শিক্ষা দফতরকে ওই পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই ওই নির্দেশিকা প্রকাশ। এ বার সেই গ্রীষ্মকালীন ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজ্য ভাগের বিতর্ক উস্কে দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিধায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল।
শঙ্করের অভিযোগ, দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের স্পষ্ট বিভাজন প্রশাসনিক ভাবে করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘দক্ষিণবঙ্গে হাঁচি-কাশি হলে এখানে সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত হলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের খুঁজে পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বার বার আলাদা রাজ্যের দাবি তোলেন, আমি কখনও সে কথা মানিনি। তবে এ ভাবে যদি দক্ষিণবঙ্গের প্রশাসনের দ্বারা উত্তরবঙ্গকে প্রভাবিত বা চালিত হতে হয় তা হলে আলাদা রাজ্যের দাবি প্রাসঙ্গিক।’’
দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াগত ফারাকও রয়েছে বলে জানিয়েছেন শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখানে এখনও ভোরের দিকে চাদর গায়ে দিতে হয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এখনই গরমের ছুটি কেন? এখানে সেই অর্থে তাপ বাড়তে আরও মাস দেড়েক বাকি আছে। শিলিগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পংকে এই গ্রীষ্মের ছুটির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক।’’ একই কথা তিনি টুইটারেও লিখেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দক্ষিণবঙ্গে গরম পড়লে উত্তরবঙ্গে বন্ধ হয় স্কুল, এই ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণে উত্তরবঙ্গে জন্ম নেয় আলাদা রাজ্যের দাবি।’
শঙ্করের এমন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘কে বলেছে উত্তরবঙ্গে গরম নেই? শঙ্কর ঘোষ এসি ঘরে বসে থাকেন। তাই বলছেন গরম নেই। রাজ্য একটাই। সিদ্ধান্ত একটাই হবে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গরমে হাঁসফাঁস করছেন মানুষ। আর ভিন্ন রাজ্যের যে দাবি তিনি করছেন তা সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক ভাবে উস্কানি দিচ্ছেন।’’