বিজেপি যুব মোর্চার সভায় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বুধবার ইংরেজবাজারে। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীকে এ বার পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপির নেত্রী বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বুধবার রহিম বক্সীর কার্যালয় থেকে ৫০ মিটার দূরে শহরের রথবাড়িতে দলের প্রতিবাদ সভায় পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, “রহিম বক্সী আমাদের কখনও জিহ্বা ছিঁড়ে নেওয়া, কখনও আবার আমাদের সাংসদকে জলে চোবানোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বিজেপিকে সভা, মিছিল করতে দেবেন না। আজকে বিজেপি সভা, মিছিল করেছে। কোথাও রহিম বক্সী? আমাদের ভয় দেখাবেন না। ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে।”
এর পরে, জানুয়ারিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী জেলায় সভা করবেন বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, “শুভেন্দুদাকে জেলায় সভা করতে দেওয়া হবে না বলে তৃণমূলের রহিম বক্সী হুঁশিয়ারি দেন। শুভেন্দুদা জেলায় সভা করবেন। আর রহিম বক্সীকে বিধানসভায় মানুষের জন্য কিছু বলতে দেখা যায় না। বিধানসভায় ভাল মানুষ সেজে চুপ করে বসে থাকেন।”
প্রতিক্রিয়ায় রহিম বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে সবার বলার অধিকার আছে। বিজেপিকে জবাব লোকসভা ভোটে বাংলা তথা মালদহের মানুষ দেবেন।”
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুরাতন মালদহের সেতু মোড় থেকে মিছিল করে পুরো শহর পরিক্রমা করেন বিজেপির নেতা, কর্মীরা। পরে, রথবাড়িতে প্রতিবাদ সভাও করেন তাঁরা। সে সভায় অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়াও ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খান।
এ ছাড়া, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভার ‘দুর্নীতি’, আইনশৃঙ্খলা, মেডিক্যালে চিকিৎসকদের হাজিরা নিয়েও সভায় প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, “মালদহের দুই পুরসভার দুর্নীতি লাল ও নীল ডায়েরিতে লিখে রাখা হচ্ছে। কেউ ছাড় পাবেন না। আর মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসক থাকেন না। চিকিৎসক পড়ুয়ারা হাসপাতাল সামলাচ্ছেন। আর চিকিৎসকেরা নার্সিংহোম খুলে বসছেন।”
বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ উড়িয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “বিজেপির দৌলতে নয়, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভা মানুষের ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে সব কিছু চলবে না। নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করা উচিত বিজেপির।” মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “মেডিক্যালে প্রচুর রোগী আসেন। সবাইকে সুচিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চিকিৎসক নিয়ে কোনও অভিযোগ, কেউ কখনও করেননি।”