প্রতীকী ছবি।
সিএএ-র সমর্থনে ইংরেজবাজার শহরে ‘অভিনন্দন যাত্রায়’ দলের প্রদেশ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বার্তা পুরভোটের প্রচারে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি।
দলীয় সূত্রে খবর, ইংরেজবাজার শহরকে দু’ভাগে ভাগ করে বাড়ি বাড়ি প্রচারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। শহরবাসীর ‘মন বুঝতে’ বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা হবে। তাতেই নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শহরবাসীর মনোভাব স্পষ্ট হবে বলে আশা বিজেপি নেতাদের।
তবে বিজেপির কোনও কৌশল-ই জেলায় কাজে লাগবে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। নতুন নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি-র বিরোধিতায় মালদহে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইংরেজবাজার শহরে একাধিক কর্মসূচি করেছে তৃণমূল। পিছিয়ে নেই বামফ্রন্ট, কংগ্রেসও। প্রজাতন্ত্র দিবসে শহিদবেদীতে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস একসঙ্গে ‘সংবিধান বাঁচাও’ কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও নতুন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে এত দিন প্রকাশ্যে রাস্তায় দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরকে।
অবশেষে সোমবার মালদহের ইংরেজবাজার শহরে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ‘অভিনন্দন যাত্রা’ করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ইংরেজবাজার শহর জুড়ে মিছিল হয়। বিজেপির দাবি, সিএএ-র সমর্থনে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন।
দলীয় সূত্রে খবর, সেই ভিড় কাজে লাগিয়ে পুরভোটের আগে শহরে শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ইংরেজবাজার শহরে ২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই ওয়ার্ডগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১ থেকে ৮ এবং ২৩, ২৪, ২৫, ২৮, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে দক্ষিণ শহর এবং ৯ থেকে ২২ এবং ২৬, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে উত্তর শহর চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পরে ওই দুই ভাগে প্রচার শুরু করবেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডগুলির বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নাম সংগ্রহ করা হবে। সিএএ নিয়ে মানুষ কী ভাবছেন তা শোনা হবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ওই কাজ শেষ করা হবে।
জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের নিরিখে শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডেই আমরা লিড পেয়েছিলাম। সিএএ-র সমর্থনে রাস্তায় মানুষের ঢল প্রমাণ করেছে শহরবাসী আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। আশা করছি পুরভোটেও সবার সমর্থন মিলবে।’’ এ নিয়ে ইংরেজবাজারের উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার বলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে ভোটে ফায়দা তুলেছিল বিজেপি। তা মানুষ বুঝতে পেরেছেন।’’