BJP

কত সবুজ সাথীর সাইকেল, খোঁজ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির

বিজেপি সূত্রের খবর, প্রতি বুথে যেমন স্মার্ট ফোন, মোটরবাইকের গুনতি শুরু হয়েছে, তেমনই হিসেব হচ্ছে সাইকেলেরও। 

Advertisement

অনির্বাণ রায় 

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০৩
Share:

সবুজ সাথীর সাইকেলে চেপে ভোট প্রচারের পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

অতি সম্প্রতি বিজেপির জেলা নেতৃত্বের কাছে আসা নির্দেশে অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত। প্রতি বুথে ক’টা সাইকেল রয়েছে, সেই রিপোর্ট চেয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সাইকেলগুলি কাদের, তা-ও জানাতে হবে। সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলকেও এই সমীক্ষায় রাখতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিজেপি সূত্রের খবর, প্রতি বুথে যেমন স্মার্ট ফোন, মোটরবাইকের গুনতি শুরু হয়েছে, তেমনই হিসেব হচ্ছে সাইকেলেরও।

দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তাতে থাকছে সাইকেলও। সূত্রের খবর, স্কুল থেকে পাওয়া সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলের হিসেবই শুধু নয়, যে সব পড়ুয়া সাইকেল পেয়েছে, তাদের অভিভাবকদের নামও জানাতে বলা হয়েছে। সাইকেল-সহ অভিভাবকদের বিজেপির মিছিলে ডাক পড়বে বলেই সূত্রের খবর। এই তোড়জোরের মধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার সব বিধানসভায় বিস্তারকেরাও এসে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরাই এ বার প্রচারের সব কিছু দেখভাল করবেন।

Advertisement

এ সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘এ তো যার শিল, যার নোড়া, তারই দাঁতের গোড়া ভাঙার ব্যবস্থা!’’ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “রাজ্য সরকার থেকে সাইকেল দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। বিজেপিকে ভোট প্রচারে সেই সাইকেলেরই ভরসা করতে হচ্ছে।” বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “এক একটা সাইকেল কেনায় কাটমানি পেয়েছেন তৃণমূলের বড় বড় নেতারা। সে কথা মানুষ সব জানে। ওই সাইকেলগুলি দেখলেই লোকে কাটমানি নিয়ে আলোচনা করে।”

দলের নির্দেশ নিয়ে অবশ্য বাপি মুখ খোলেননি। তবে সূত্রের খবর, সাইকেলের হিসেব চাওয়া হয়েছে, কারণ প্রথমত, মিছিলে তা প্রয়োজন হবে। দ্বিতীয়ত, বুথের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের জন্য সাইকেল থাকা কর্মী-বাসিন্দাদের কাজে লাগানো হতে পারে।

জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্বে আটটি বিধানসভা রয়েছে। সব ক’টিতেই বিস্তারকরা গত রাতে পৌঁছেছেন। সব বিধানসভায় বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন তাঁরা। প্রতি মণ্ডলে বিজেপি যুব মোর্চা, নারী মোর্চাকে একদিন করে কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। সপ্তাহে একদিন করে প্রভাতফেরি করতেও নির্দেশ এসেছে। সেগুলি ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, তা দেখবেন বিস্তারকরা। বাসিন্দাদের সঙ্গে এলাকার সমস্যা নিয়েও তাঁরা কথা বলবেন। সূত্রের খবর, বিস্তারক বাছাই করেছে সঙ্ঘ। তাঁদের থাকা-খাওয়ার খরচও সঙ্ঘই বহন করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement