প্রতীকী ছবি
আগামী এপ্রিল-মাস মাসে পুরভোট হচ্ছে ধরে নিয়েই বিজেপির দলীয়স্তরে প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গেল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার নতুন জেলা কমিটিও ঘোষণা হয়েছে। তাতে দলীয় রীতি মেনে বিভিন্ন পদ, পদাধিকারী, শাখা কমিটি তৈরি করে নেতানেত্রীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার কমিটির অধীনে তৈরি হয়েছে ১৮টি শাখা কমিটি। এ ছাড়া শিলিগুড়িতে এ বারই প্রথমবার নতুন একটি জেলাস্তরের কমিটি গড়ল জেলা বিজেপি। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘পলিটিক্যাল ফিডব্যাক কমিটি’। চলতি মাস থেকেই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ শুরু করার কথা বলা হয়েছে কমিটির সদস্যদের।
দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির দলীয় সংবিধান মেনে এই ধরনের কমিটি গঠনের কথা কোথাও অবশ্য বলা নেই। কিন্তু কোনও জেলা সভাপতি প্রয়োজন মনে হলে কাজের সুবিধার জন্য এমন কমিটি বা শাখা তৈরি করতে পারেন। সেই জায়গা থেকেই রাজনৈতিক লাভের আশায় ওই ‘ফিডব্যাক’ কমিটি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন শাখা থেকে মণ্ডল, ওয়ার্ড বা বুথ স্তর থেকে উঠে আসা নানা মতামত ছাড়াও দলীয় নেতৃত্ব বা রাজনৈতিক কাজকর্ম সম্পর্কে বাসিন্দাদের বক্তব্য কমিটি নিজের মতো শুনে, জেনে এবং খোঁজ করে জেলা নেতৃত্বকে সরাসরি জানাবে। সেই অনুসারে চলবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, ‘‘ফিডব্যাক কমিটিটি একেবারেই নতুন বিষয়। আমরা দলের রোজকার রাজনৈতিক কাজকর্মকে আরও মজবুত করতে এই কমিটি গড়েছি। আরও কিছু কমিটি রয়েছে, সেগুলি দলের অন্দরে কাজ করবে।’’
আপাতত শিলিগুড়ির ফিডব্যাক কমিটিতে দলের বিভিন্ন স্তরের সাত জন নেতাকে রাখা হয়েছে। জায়গা দেওয়া হয়েছে সদ্য বিজেপিতে আসা তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দীকেও। দলের এক প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। সোশ্যাল মিডিয়া এর অন্যতম। রয়েছে নিত্যনতুন ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল। সব মিলিয়ে দিনভর, ২৪ ঘণ্টা নানা বিষয় নিয়ে সেই প্লাটফর্মগুলিতে আলোচনা চলতেই থাকে। আর রাজনীতি এর বড় অংশ দখল করে থাকে। সেগুলিতেও আলাদা করে নজর রাখাটা জরুরি। তেমনিই, শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গতিবিধি, দলের দুর্বলতা, পুরভোট সংক্রান্ত রণনীতি নিয়ে কী শোনা যাচ্ছে, তা সবই জেলা নেতৃত্বকে জানাবে ফিডব্যাক কমিটি।