ব্যারিকেড ফেলল বিজেপি

এদিন মহকুমাশাসকের দফতরে যুবমোর্চার স্মারকলিপি কর্মসূচি ছিল। মোর্চার মিছিল গিয়ে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে ব্যারিকেড তুলে ফেলে দেয়। তাতে সাময়িক ভাবে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা প্রশমিত হয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৯
Share:

এসডিও অফিস ঘেরাও অভিযানে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।

কলকাতার রাস্তায় বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে সম্প্রতি ধুন্ধুমার হয়েছিল। কিন্তু শিলিগুড়িতে বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা থাকলেও বৃহস্পতিবার সে রকম কিছু হল না। এ দিন মহকুমাশাসকের দফতরে যুবমোর্চার স্মারকলিপি কর্মসূচি ছিল। মোর্চার মিছিল গিয়ে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে ব্যারিকেড তুলে ফেলে দেয়। তাতে সাময়িক ভাবে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা প্রশমিত হয়ে পড়ে। মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায়ের কাছে পরে স্মারকলিপি জমা করে যুবমোর্চা। শহরে একের পর এক ডাকাতি, ছিনতাই হয়ে চলেছে গত এক মাসে। শেষ পর্যন্ত গ্রেনেড পাওয়ার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি।

Advertisement

শহরে বেড়ে চলা অপরাধে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে এ দিন বাঘাযতীন পার্ক থেকে হিলকার্ট রোডে মহকুমাশাসকের দফতরে মিছিল করে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল যুবমোর্চার। তাতে প্রাথমিক ভাবে কোনও সমস্যা না হলেও উত্তেজনা তৈরি হয় মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে গিয়ে। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) অভিজিৎ রায়চৌধুরী ছিলেন।

যুবমোর্চার শিলিগুড়ির সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথদের নেতৃত্বে এদিন মিছিল পৌনে চারটে নাগাদ পৌঁছয় মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে। সামনের ফুটপাথে ঢোকার মুখেই তিনটি গার্ডরেল দিয়ে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। মিছিল পৌঁছেই প্রথমেই সেই গার্ড রেল ধরে টানাটানি শুরু করে। তারপর তা তুলে সরিয়ে দেয়। মহকুমাশাসকের দফতরের মূল কোলাপসিবল গেট ঝাঁকাতে শুরু করেন বিজেপি এবং যুবমোর্চার সমর্থকরা। তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও পারেনি পুলিশ। যদিও তারপর সমর্থকরা নিজেরাই এসডিও অফিসের সামনে বসে পড়েন।

Advertisement

রাজু বলেন, ‘‘শহরের নিরাপত্তা ক্রমাগত তলানিতে ঠেকছে। তার দিকে পুলিশ নজর দিচ্ছে না।’’ অভিজিৎ দাবি করেন, ‘‘পুলিশকে বিজেপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করার কাজে লাগাচ্ছে শাসক দল। তার জন্যই শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ছে। ’’

এদিন মহকুমাশাসকের দফতরে ঢোকার মূল গেট থেকে শুরু করে হিলকার্ট রোর্ড পর্যন্ত ১০ মিটারের মধ্যে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিল পুলিশ। ‘কম্পোজিট’ ফোর্সের প্রথম স্তরে লাঠিধারী পুলিশ, দ্বিতীয় স্তরে র‌্যাফ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং তৃতীয় স্তরে পুলিশ এবং অন্যান্য ফোর্স ছিল। মিছিল প্রথম স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেলে আটকায়নি পুলিশ। দ্বিতীয় স্তরে ছিল ব্যারিকেড। সেখানে পাহারা থাকলেও ধাক্কাধাক্কির পর তা তুলে ফেলে মূল গেটে তৃতীয় স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঢুকে পড়ে বিজেপির সর্থকরা।

মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘স্মারকলিপি পেয়েছি। তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement