মাথাভাঙার লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা! — নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার লোকসভায় পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তার পর থেকেই কোচবিহার জেলায় বিজেপির হাতে থাকা পঞ্চায়েত সদস্যেরা দলে দলে তৃণমূলে যোগদান করছেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতে এ বার বিজেপির দখলে থাকা পঞ্চায়েতে তালা ঝুলতে দেখা গেল। তা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতে।
গত পঞ্চায়েত ভোটে লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে বিজেপি। ২৩টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসনে গত পঞ্চায়েতে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। ১০টি আসন পায় তৃণমূল। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। এত দিন সে ভাবেই চলছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটে কোচবিহার কেন্দ্রে তৃণমূল জেতার পর থেকে বদলে যেতে থাকে। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিজেপির হাতে থাকা সাতটি পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই পঞ্চায়েতটিও দখল করার পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই তালা ঝোলানো বলে দাবি বিজেপির। মাথাভাঙ্গার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণের দাবি, তৃণমূল কর্মীরাই তালা ঝুলিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমি বিডিওকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ-প্রশাসনকেও জানিয়ে রেখেছি। ফলঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের লোকেরা আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের অঞ্চল অফিসে যেতেও বাধা দিচ্ছে। জোর করে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো দখল করার চেষ্টা করছে।’’
প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারী বলেন, ‘‘বিজেপির এই গ্রাম পঞ্চায়েত সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। তাই সাধারণ মানুষই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের কারও তালা ঝোলানোর প্রয়োজন পড়েনি।’’