বিজেপি সমর্থক পরিবারের বাড়িতে তৃণমূলের পতাকা। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি করার ‘অপরাধ’! বিজেপি করায় কোচবিহারে পাঁচটি পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করার অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, পারিবারিক ঘটনাকে রাজনৈতিক মোড়ক দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ, তুফানগঞ্জের চিলাখানা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাঁচটি পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কটের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। রীতিমতো তৃণমূলের পতাকা নিয়ে নাকি ওই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় রাজ্যের শাসকদলের একটি বাহিনী। ওই বিজেপি কর্মীদের বাড়ির উঠোনে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় বিজেপি কর্মী তথা ওই পরিবারগুলির একটির সদস্য জাকির হোসেনের দাবি, তাঁদের বাজারহাট, ধোপা নাপিত, জমিতে চাষাবাদ— সব বন্ধ করার ফরমান জারি করা হয়েছে।
জাকিরের কথায়, “তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দেখা না করলে পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।” ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, দুই থেকে আড়াই বছর আগে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁদের একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। যে প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ, তিনি তৃণমূল করেন। বর্তমানে সেই ঘটনাকে ঢাল করে তৃণমূলের লোকেরা দলবল নিয়ে এসে হামলা করছেন বলে দাবি জাকিরের। তিনি বলেন, “আমরা সমস্ত বিষয়টি পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে জানাব।”
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি এটি একটি পারিবারিক বিবাদের ঘটনা। কিন্তু সেখানে কেন দলীয় পতাকা ব্যবহার করা হল, তা আমরা দলীয় ভাবে খতিয়ে দেখব।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, কেউ যদি নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য দল এবং দলীয় পতাকাকে ব্যবহার করেন, তা কখনওই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা প্রশাসনকে বলব, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। দলকে কেউ কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”