সকাল থেকে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়তেই বন্ধের আঁচ মেলে শিলিগুড়িতে।
১২ ঘণ্টার বন্ধকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শিলিগু়ড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত বাগডোগরায় ব্যাঙ্ক বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে শাসক তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে ভয় পেয়েই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে মেতেছে বিজেপি।
সকাল থেকে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়তেই বন্ধের আঁচ মেলে শিলিগুড়িতে। প্রভাব দেখা যায় শিলিগুড়ি মহকুমাতেও। বাগডোগরা, খড়িবাড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় রাস্তায় নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, বাগডোগরায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ঢুকে কর্মীদের বার করে দিয়ে ব্যাঙ্কে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। এ বিষয়ে ব্যাঙ্কের কর্মীরা অবশ্য প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি।
এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক নিপুণতার সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাংলায় একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। নানাবিধ অনৈতিক কাজ করছে বিজেপি। একটা ধ্বংসাত্মক রাজনীতির খেলায় মেতেছে তারা। দেশটাকে তারা সম্পূর্ণ বিক্রি করে দেওয়ার জায়গায় নিয়ে এসেছে। এই মুহুর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের রাস্তায় রয়েছেন। মানুষের বাড়িতে যাচ্ছেন। কাজেই বিজেপি ভীত-সন্ত্রস্ত। শুধুমাত্র নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য বাংলার বুকে অস্থিরতা তৈরি করছে।’’
বিজেপির অবশ্য দাবি, কর্মীরা নিজেরাই ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিয়েছেন। দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘কালিয়াগঞ্জের ঘটনার বিরোধিতা করে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই বন্ধের সমর্থনে সাড়া দিয়েছেন। শুধুমাত্র শিলিগুড়ি শহর নয়, শিলিগুড়ি মহকুমা জুড়েই মানুষের সাড়া মিলছে। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পুলিশ ও তৃণমূল জোর করে সব খোলাতে চায়৷ কিন্তু আমরা রাস্তায় নেমে তার বিরোধিতা করেছি। যে কারণে শিলিগুড়ি-সহ মহকুমার বিভিন্ন থানায় আমাদের কর্মীরা আটক রয়েছেন। সার্বিক ভাবে এই বন্ধ সফল।’’