চা বাগানে দলছুট বাইসন। নিজস্ব চিত্র।
হাতির পর এ বার ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল দলছুট বাইসন (গউর)। দিনভর চা বাগানে তার ছোটাছুটিতে আতঙ্ক ছড়ালো শ্রমিকদের মধ্যে। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় বাইসনটির।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের অদূরের জঙ্গল থেকে দলছুট বাইসনটি লোকালয়ে চলে এসেছিল। তাকে বাগে আনতে নাকাল হতে হয় বনকর্মীদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বাইসনটিকে বানারহাটের বাগানে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন শ্রমিকেরা। এরপর তাঁরা বন দফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাণীটির গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেন। অভিযোগ, ‘উৎসাহী’ জনতার তাড়া খেয়ে সেটি বাগানের ভিতর ছোটাছুটি করতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর বাইসনটি লক্ষ্মীপাড়া বাগান থেকে বানারহাট চা বাগানে ঢুকে পড়ে। বনকর্মীরা সেখানে গেলে তাড়া খেয়ে বাইসনটি ফের লক্ষ্মীপাড়া বাগানে চলে আসে। বাগান সূত্রের খবর, তখন শ্রমিকেরা কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁদের অনেকে বাইসনটিকে তাড়া করেন। দুপুরের দিকে সেটি দেবপাড়া চা বাগানে ঢুকে পড়ে। বনকর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান, বাইসনটি পরিশ্রান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়েছে। দূর থেকে নজর রাখেন তাঁরা। কিন্তু বিকেলের দিকে বাইসনটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: বিহারের বিধানসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ‘স্ট্রাইকিং রেট’ তিন বাম দলের
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দিনভর ছোটাছুটির সময় চা বাগানের ধারালো ব্লেড-তারের বেড়ায় প্রাণীটি ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। সেই কারণেই মৃত্যু। যদিও অভিজ্ঞ বনকর্মীদের অনেকের মতে, অতীতে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বেশ কয়েকটি বাইসন অতিরিক্ত ছোটাছুটি করে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা পড়েছে। প্রসঙ্গত। চলতি মাসেি ডুয়ার্সে রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান এবং নাগরাকাটায় জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে দু’টি দলছুট শিশু হাতি।
আরও পড়ুন: বিহারে বিজেপি এগোতেই চাঙ্গা বাজার, ৪৩ হাজারে সেনসেক্স